বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগ যদি কোনো অন্যায় করে থাকে, তবে দেশের আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে। তিনি বলেন, দেশের আইনই শেষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে, আর অন্যায়কারীর বিচার নিশ্চিত হওয়া উচিত, তা ব্যক্তি হোক বা দল। সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, তিনি ১৭ বছর ধরে প্রবাসে আছেন। তথাকথিত ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময় তার ওপর যে শারীরিক নির্যাতন হয়েছে, তার পর চিকিৎসার জন্য তিনি দেশে ফিরেছেন। দেশে আসার সময় তিনি ছোট ভাই ও সুস্থ মাকে রেখে আসেন। তিনি উল্লেখ করেন, যে ঘরে তিনি এবং তার ভাই বড় হয়েছেন, যেখানে তাদের বাবার স্মৃতি ও তাদের সন্তানদের জন্মসংক্রান্ত স্মৃতি সংরক্ষিত ছিল, সেই ঘর ভেঙে ধুলায় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তিনি জানান, যে ভাইকে তিনি রেখে এসেছিলেন, সে এখন নেই, আর তার মা সুস্থ নেই।
তিনি বলেন, তার পরিবারের এই কাহিনি শুধু ব্যক্তিগত নয়; এ ধরনের কাহিনি বাংলাদেশের শত শত নয়, বরং হাজার হাজার পরিবারের। যারা এই অন্যায়, হত্যা ও নির্যাতনের নির্দেশ দিয়েছে, তাদের প্রত্যেকের বিচার হওয়া উচিত। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এটি প্রতিশোধ নয়, বরং ন্যায় ও আইনের প্রশ্ন। অন্যায় হলে তার বিচার নিশ্চিত হওয়া আবশ্যক।
তারেক রহমান আরও বলেন, দল হিসেবে যদি আওয়ামী লীগ অন্যায় করে থাকে, তবে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে। দেশের আইনই সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি জানান, বিএনপি বিশ্বাস করে যে তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস হলো জনগণ। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, যে দল বা ব্যক্তিরা মানুষ হত্যা, গুম বা অর্থপাচার করে, জনগণ তাদের সমর্থন করবে না। তাই জনগণের সমর্থন ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দল টিকে থাকতে পারবে না। তিনি শেষ পর্যন্ত বলেন, জনগণের সিদ্ধান্তই সবচেয়ে বড় বিচারক এবং জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস রাখার মাধ্যমে জনগণের ওপর আস্থা রাখতে হবে।