প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বিশ্বে বিদ্যমান অস্থিতিশীলতা নিরসন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় বুদ্ধের শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
আগামীকাল ৫ অক্টোবর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দান’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, মহামতি গৌতম বুদ্ধ আজীবন অহিংসা, সাম্য ও মৈত্রীর বাণী প্রচার করেছেন। শান্তি ও সম্প্রীতির ভিত্তিতে আদর্শ সমাজ গঠনই ছিল তাঁর মূল লক্ষ্য। তাঁর আদর্শ মানবিকতা ও ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জ্বল এবং আজও বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।
অধ্যাপক ইউনূস উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে বৌদ্ধ ঐতিহ্যের হাজার বছরের সম্পর্ক রয়েছে। প্রাচীনকালে বর্তমান বাংলাদেশের অঞ্চল ছিল এশিয়ার বৌদ্ধধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র, যার প্রমাণ দেশের বিভিন্ন প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, যেখানে যুগ যুগ ধরে সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ সৌহার্দ্যে বসবাস করছে। জাতির প্রতিটি অর্জনে সবার অবদান রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর গড়ে ওঠা নতুন বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহিষ্ণুতা আরও দৃঢ় হবে। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বৈষম্যহীন, ন্যায়নিষ্ঠ ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন রাষ্ট্র গঠন সম্ভব হবে।
তিনি প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দান উৎসবের সার্বিক সফলতা কামনা করেন।
পাঠকের মন্তব্য