বাংলা ভাষা ও সাহিত্যচর্চার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, ভাষাসৈনিক, কবি, প্রাবন্ধিক ও রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ আহমদ রফিক (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর বারডেম জেনারেল হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
এর পর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মরহুমের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। শোকবার্তায় তিনি বলেন, “আহমদ রফিক ছিলেন আমাদের ভাষা আন্দোলনের এক অগ্রগণ্য সাক্ষী ও সংগ্রামী কণ্ঠস্বর। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন একজন অনন্যসাধারণ কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও রবীন্দ্রতত্ত্বচর্চার দিশারি। শতাধিক গ্রন্থ রচনা ও সম্পাদনার মাধ্যমে তিনি বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছেন। রবীন্দ্রচর্চার ক্ষেত্রে তার অবদান দুই বাংলায় সমানভাবে শ্রদ্ধার আসন পেয়েছে। কলকাতার টেগর রিসার্চ ইনস্টিটিউট তাকে ‘রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য’ উপাধি দিয়ে সম্মানিত করেছে, যা তার বিদগ্ধতার স্বীকৃতি।”
আহমদ রফিকের অবদান
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “দেশের সংস্কৃতি ও মুক্তচিন্তার জগতে আহমদ রফিকের প্রয়াণ এক অপূরণীয় ক্ষতি। দৃষ্টিশক্তি ও শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও তিনি শেষ দিন পর্যন্ত জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে গেছেন।”
আহমদ রফিকের সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক কর্মের মধ্যে রয়েছে শতাধিক গ্রন্থ রচনা ও সম্পাদনা, যা বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির ইতিহাস ও সাহিত্যচর্চাকে সমৃদ্ধ করেছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য ও চিন্তাধারার উপর তার গবেষণা দুই বাংলায় সমানভাবে স্বীকৃত।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শোকসন্তপ্ত বার্তা
প্রধান উপদেষ্টা মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলেন, “আহমদ রফিকের জীবন ও কর্ম আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে তাকে স্মরণ করবে।” তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, শুভানুধ্যায়ী ও সাহিত্য–সংস্কৃতিমনা জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
পাঠকের মন্তব্য