বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে নতুন করে আলোচনায় এসেছে আওয়ামী লীগ ও ভারতের ভূমিকা। বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদিন ফারুক অভিযোগ করেছেন—দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য আওয়ামী লীগ ও ভারত যৌথভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকাস্থ সেনবাগ ফোরামের আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ভারতকে বন্ধু নয়, বরং চাপের উৎস বলে দাবি
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে জয়নাল আবদিন ফারুক বলেন,
“ভারত বাংলাদেশের বন্ধু নয়। সীমান্তে হত্যা, পুশ-ইন-সহ নানাভাবে তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়। যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য বিনষ্ট করতে চায়, তাদের রুখে দিতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে।”
তার দাবি, ভারত দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে। সীমান্তে নিরীহ মানুষ হত্যা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় চাপ সৃষ্টি—সব মিলিয়ে প্রতিবেশী দেশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ।
আন্দোলনরত দলগুলোর প্রতি আহ্বান
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা আরও বলেন, চলমান আন্দোলনে রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত সব দাবি-দাওয়া নির্বাচিত সরকারের হাতে তুলে দেওয়া।
“যারা রাস্তায় আন্দোলন করছেন, তাদের প্রতি আমার আহ্বান—সব দাবি নির্বাচিত সরকার পূরণ করবে। এখন আমাদের মূল লক্ষ্য হতে হবে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা।”
প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে প্রশ্ন
আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের আশপাশে ষড়যন্ত্রকারীদের উপস্থিতির কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
জয়নাল আবদিন ফারুক বলেন,
“প্রধান উপদেষ্টার আশপাশে বহু ষড়যন্ত্রকারী রয়েছে। সব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে যদি নির্বাচন করা না যায়, তবে তিনিও প্রশ্নবিদ্ধ হবেন।”
প্রেক্ষাপট
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন ও রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। খাগড়াছড়ি থেকে রাজধানী পর্যন্ত নানা ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এর মধ্যেই বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তাপ ছড়াচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রতিবেশী দেশগুলোর ভূমিকাকে সরাসরি কাঠগড়ায় তোলা বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কেও প্রভাব ফেলতে পারে। তবে বিএনপি নেতাদের দাবি—তাদের লক্ষ্য কেবল একটি গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন।
পাঠকের মন্তব্য