বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কিকে অভিনন্দন জানিয়ে এক আবেগঘন বার্তা পাঠিয়েছেন। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) তার স্বাক্ষরিত চিঠি নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে পৌঁছায়।
অভিনন্দনের বার্তা
চিঠিতে ড. ইউনূস লেখেন—
“বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে এবং ব্যক্তিগতভাবে আমি নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনার নিয়োগে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। সংকটপূর্ণ সময়ে আপনার নেতৃত্ব নেপালের জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিফলন।”
তিনি আরও বলেন, নেপাল বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও প্রতিবেশী। তাই বাংলাদেশ আশা করে, সুশীলা কার্কির নেতৃত্বে নেপাল শান্তি, উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার পথে এগিয়ে যাবে।
সম্পর্ক জোরদারের অঙ্গীকার
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস তার বার্তায় দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন—
“আমরা উভয় দেশই পারস্পরিক সম্মান, সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। আমি আশা করি, আপনার নেতৃত্বে এই সম্পর্ক আরও গভীর ও দৃঢ় হবে।”
সহমর্মিতা প্রকাশ
নেপালের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রাণহানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনি গভীর শোক ও সমবেদনা জানান। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়—
“সম্প্রতি নেপালের রাজনৈতিক সহিংসতায় যে প্রাণহানি ঘটেছে তার জন্য আমরা গভীরভাবে শোকাহত। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।”
মানবিক দৃষ্টিকোণ
অভিনন্দন বার্তার ভাষায় মানবিক সংবেদনশীলতা স্পষ্ট। শুধু রাজনৈতিক সম্পর্ক নয়, বরং প্রতিবেশী জনগণের প্রতি সহমর্মিতা, শান্তির প্রত্যাশা এবং সম্মিলিত ভবিষ্যৎ গঠনের আহ্বান এই বার্তায় প্রতিফলিত হয়েছে।
আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার বার্তা
দক্ষিণ এশিয়ায় একের পর এক রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে নেপালের নতুন নেতৃত্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বাংলাদেশ থেকে প্রেরিত এ অভিনন্দন বার্তা শুধু শুভেচ্ছা নয়, বরং আঞ্চলিক সহযোগিতা ও স্থিতিশীলতার জন্য একটি প্রতীকী পদক্ষেপ বলেও বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
চিঠির শেষে ড. ইউনূস সুশীলা কার্কির সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন এবং নেপালের জনগণের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধির শুভকামনা জানান।