রবিবার (৩১ আগস্ট) ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে (আইইবি) বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ বক্তব্য দেন।
তারেক রহমান বলেন, “প্রায় এক বছর আগে আমি বলেছিলাম, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অদৃশ্য শক্তি সক্রিয় রয়েছে। আজ জনগণ নিজের চোখে দেখতে শুরু করেছে, কীভাবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ নষ্ট করতে নোংরা প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে যখন বাংলাদেশ একটি স্বৈরাচারমুক্ত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের পথে হাঁটছে, তখন কিছু রাজনৈতিক দল তাদের দলীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে নির্বাচনের নামে অযৌক্তিক শর্ত আরোপ করছে। এর মধ্য দিয়েই নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রাজনীতিতে তারেক রহমানের বক্তব্য সবসময় বিএনপি কর্মী-সমর্থকদের কাছে দিকনির্দেশনামূলক হিসেবে বিবেচিত হয়। এবারের সতর্কবার্তায় তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে শুধু ক্ষমতাসীনদের ভূমিকা নয়, বাইরের কিছু ‘অশুভ শক্তি’ও নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
বিএনপির দীর্ঘদিনের দাবি হলো— একটি নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচন। কিন্তু এই দাবি পূরণে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে বলে দলটির শীর্ষ নেতারা মনে করছেন। বিশেষ করে রাজনৈতিক মেরুকরণ, প্রশাসনিক প্রভাব এবং আন্তর্জাতিক চাপকে ঘিরে বিভ্রান্তি বাড়ছে।
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন এখন উত্তপ্ত। বিএনপি বলছে— তারা একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়, তবে কোনোভাবেই কারচুপিমূলক নির্বাচনে যাবে না। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন আশ্বাস দিচ্ছে, তারা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তুত।
এ প্রেক্ষাপটে তারেক রহমানের বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। কারণ, তিনি সরাসরি “অশুভ শক্তি”র প্রসঙ্গ তুলে সম্ভাব্য ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
পাঠকের মন্তব্য