আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অনুষ্ঠিত হবে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
শনিবার প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত করছে যে আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অনুষ্ঠিত হবে। এটি জনগণের প্রতি সরকারের একনিষ্ঠ অঙ্গীকার। নির্বাচন বিলম্বিত বা বানচাল করার সকল ষড়যন্ত্র, বাধা ও প্রচেষ্টা সরকার এবং গণতন্ত্রপ্রেমী দেশপ্রেমিক জনগণ দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করবে। জনগণের ইচ্ছাই জয়ী হবে।”
বিবৃতিতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা নুরুল হক নুরের ওপর নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। সরকার বলেছে, কেবল নুরের ওপর হামলা নয়—এই ধরনের সহিংসতা ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক সংগ্রামের চেতনার ওপরও আঘাত।
সরকার আশ্বাস দিয়েছে, ঘটনাটির পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে সম্পন্ন করা হবে। “প্রভাব বা পদমর্যাদা যাই হোক না কেন, জড়িত কেউ জবাবদিহিতা থেকে রেহাই পাবে না। স্বচ্ছতা ও দ্রুততার সঙ্গে বিচার সম্পন্ন করা হবে।”
নুরুল হক নুর ও তাঁর দলের আহত সদস্যদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে একটি বিশেষায়িত মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। প্রয়োজনে তাঁদের রাষ্ট্রীয় খরচে বিদেশে পাঠিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।
সরকার স্মরণ করিয়ে দেয়, ২০১৮ সালে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নুরুল হক ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছিলেন। ছাত্রনেতা হিসেবে তিনি তরুণদের ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে নির্ভীকভাবে দাঁড়িয়েছিলেন। ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানকালে তাঁকে গ্রেপ্তার করে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছিল। বিবৃতিতে বলা হয়, তাঁর ভূমিকা একটি স্বাধীন, সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য জনগণের সম্মিলিত আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে আছে।
বিবৃতির শেষাংশে বলা হয়, “এই সংকটকালে অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানায়। আমাদের সংগ্রামের অর্জন রক্ষা করতে, জনবিরোধী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে এবং গণতন্ত্রে সফল উত্তরণ নিশ্চিত করতে সবার ঐক্য অপরিহার্য।”
পাঠকের মন্তব্য