গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরের ওপর যৌথবাহিনীর লাঠিপেটায় গুরুতর আঘাত লাগে, তবে বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, নুরুল হকের মাথায় আঘাত এবং নাকের হাড় ভেঙে গেছে, যার কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছিল। তবে, তার রক্তক্ষরণ এখন বন্ধ হয়েছে এবং জ্ঞান ফিরেছে।
ডাক্তাররা জানিয়েছেন, নুরুল হক এখনো আশঙ্কামুক্ত নয় এবং ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কিছু বলা সম্ভব নয়। এজন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি উচ্চপর্যায়ের মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে।
ফেসবুকে তার পেজে জানানোর মাধ্যমে বলা হয়, বর্তমানে নুরুল হক আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসাধীন রয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের আরও পাঁচজন সদস্যও।
শুক্রবার রাতে কাকরাইলে সেনাবাহিনী ও পুলিশের লাঠিপেটায় আহত হন নুরুল হক এবং তার দলের নেতাকর্মীরা। ঘটনার পরেই তার দলের নেতারা আন্দোলন শুরু করেন এবং ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করেন।
এদিকে, নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি সহ রাজনৈতিক দলগুলো নিন্দা জানিয়েছে। সামাজিকমাধ্যমে এই ঘটনা নিয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতা ও সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
এরই মধ্যে সেনাবাহিনী একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, সংঘর্ষের সময়ে তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বলপ্রয়োগ করতে বাধ্য হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
বর্তমানে পরিস্থিতি উত্তপ্ত এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে, কারণ এই ঘটনার সাথে একাধিক দল ও জনগণের সমর্থন ও প্রতিবাদ যুক্ত হয়েছে।
পাঠকের মন্তব্য