আজ শনিবার, সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল এবং ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করবে গণঅধিকার পরিষদ। গত ২৯ আগস্ট রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
বিক্ষোভ কর্মসূচি
-
কর্মসূচি সময়সূচি:
-
১২টা: দেশের ৬৪টি জেলায় বিক্ষোভ মিছিল
-
৩টা: ঢাকায় গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ
-
হামলার পরিপ্রেক্ষিত
গতকাল (২৯ আগস্ট) রাতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নুরের কর্মী ও জাপা নেতাকর্মীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা লাঠিচার্জ করলে, এই হামলার শিকার হন নুর।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এ হামলার ঘটনায় সরকারের কাছে জবাবদিহি দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, “এমন হামলার ঘটনা আওয়ামী লীগের আমলেও ঘটেনি, আজকের হামলার জন্য সরকারের দায় থাকতে হবে।”
সেনাবাহিনীর ভূমিকা
এ হামলার পর, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে যে, এটি ‘মব ভায়োলেন্স’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী বাধ্য হয়ে বল প্রয়োগ করেছে।
গণঅধিকার পরিষদ এর প্রতিবাদ জানিয়ে বলছে, “যদি সেনাবাহিনীর নির্দেশে এ হামলা হয়ে থাকে, তাহলে তা মেনে নেওয়া যাবে না। সেনাপ্রধানকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাবদিহি করতে হবে।”
সুশীল সমাজের দাবী
রাশেদ খান আরও বলেন, “সরকারকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে হবে। এর মধ্যে যদি কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে ভবিষ্যতে আইন হাতে তুলে নেওয়ার দায় সরকারকেই নিতে হবে।”
প্রধান উপদেষ্টা এবং সরকারের প্রতি আল্টিমেটাম
তিনি প্রধানমন্ত্রী, সেনাপ্রধান এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্দেশে আল্টিমেটাম দিয়েছেন। “আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলার বিচার হবে না, তাহলে পরবর্তী কোনো ঘটনায় সরকারকেই দায়ী থাকতে হবে।”
পাঠকের মন্তব্য