মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে।
বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ চারজন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ আগামী রোববার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন। এর আগে পাঁচ দিনে মোট ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
প্রসিকিউশন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এসএইচ তামিম শুনানি পরিচালনা করেন। এ সময় অন্য প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন। পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। আর রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
গত ১০ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করে। এ সময় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্য উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন করলে সাবেক আইজিপি আল-মামুনকে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করে।
এ মামলার বাইরে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। একটি মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে গুম-খুনের অভিযোগ রয়েছে, অপর মামলাটি ২০১৩ সালে রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে দায়ের করা হয়।
গত বছরের জুলাই–আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার ও এর সহযোগী বাহিনী মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব অভিযোগের বিচার চলছে।
পাঠকের মন্তব্য