ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ রাখার গত বছরের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
শনিবার (৯ আগস্ট) ভোরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে হল রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকালে ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে কমিটি ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এর ধারাবাহিকতায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে এসে ‘হল রাজনীতি আর নয়’, ‘স্বাধীনতা না দাসত্ব, স্বাধীনতা-স্বাধীনতা’সহ নানা স্লোগান দেন।
২০২৪ সালের ১৭ জুলাই শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধ) নেতাকর্মীদের হল থেকে অপসারণ এবং হলগুলোকে রাজনীতিমুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
ঢাবির প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমাদের সিদ্ধান্ত হলো, হল স্তরে কোনো ছাত্ররাজনীতির অনুমতি দেওয়া হবে না। তারা কেন্দ্রীয় স্তরে, মধুর ক্যান্টিনে রাজনৈতিক কার্যক্রম করতে পারে—এটাই ছিল বোঝাপড়া। তবে আমরা কোনো ছাত্র সংগঠনকে জোর করে কার্যক্রম বন্ধ করতে বলি না। ১৭ জুলাই যা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, তা বহাল থাকবে।”
তিনি আরও জানান, নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয়টি নিয়ে শনিবার প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভা হবে। এরপর সংশ্লিষ্ট ছাত্র সংগঠনের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে।
পাঠকের মন্তব্য