মন্তোষ চক্রবর্তী: ঢাকা ।
অনেক বছর ধরে কৃষ্ণচূড়ার ফুল দিয়ে গয়না পরার শখ । তাইতো ফুলটি নিয়ে উৎসাহের কমতি নেই পথচারি রোদেলা (ছন্দ নাম) তবে শুধু সে নয়, রাজপথের দু’ধারে রক্তিম আভায় এই নগরীর। ধূসর নগরের ভাঁজে ভাঁজে এখন ডানা মেলেছে রক্তলাল কৃষ্ণচূড়া।
নগরীর রাজপথের দু‘পাশে জারুল, সোনালু, কণকচূড়া, রাঁধাচূড়া ফুলের দেখা মেলে গ্রীষ্ম এলেই। তবে ইমারতের ঢাকাকে রূপসী করে তুলতে কৃষ্ণচূড়ার অবদানই সবচেয়ে দৃশ্যমান বলে মনে করেন অনেকে। এই ফুল নিয়ে তাই নাগরিক আবেগও কম নয়। আর দিন পনেরো ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর পাতা খুললেও চোখে পড়ছে এই আগুনরাঙা কৃষ্ণচূড়া।নগরীজুড়ে কৃষ্ণচূড়ার রঙিন আভার মাতামাতি। নিজের রোদেলা বলেন, কৃষ্ণচূড়া শুধু ডালেই নয়, কৃষ্ণচূড়ার আগুনে রং শোভা পায় গাছের নিচেও। ঝরা ফুলের সে সৌন্দর্য দেখার আসল সময় ভোরবেলা। তবে সারাটা দিনও এই ফুল তার রক্তিম ভালোবাসায় রাঙিয়ে রাখে পুরো শহরকে। তাইতো সেদিকে তাকালেই মন ভরে ওঠে।এই আবেগ-ভালোবাসার কৃষ্ণচূড়া ।‘নগরীজুড়ে কৃষ্ণচূড়ার রঙিন আভার মাতামাতি। এখন ঢাকার যেকোনো এলাকায় গিয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে ডানে-বাঁয়ে তাকালে কৃষ্ণচূড়া নজরে পড়বেই। প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে রীতিমতো আয়োজন করেও কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য উপভোগ করেন অনেকে। তাইতো ছুটির দিন কিংবা একটু অবসরে অনেকে ছুটে যান কৃষ্ণচূড়ার তলে, গাছতলা ছেয়ে থাকা ঝরা ফুল আর কচি সবুজ পাতার ঐশ্বর্যে।ঢাকা নগরীজুড়ে কৃষ্ণচূড়ার রঙিন আভার মাতামাতি।
প্রকৃতি যখন প্রখর রৌদ্রে পুড়ছে, কৃষ্ণচূড়া ফুল তখন জানান দেয় তার সৌন্দর্যের বার্তা। সে বার্তায় আবেগ থাকে, ভালোবাসা থাকে, আর থাকে প্রেম। তাইতো প্রখর রৌদ্রেও নীল আকাশের ক্যানভাসে গাঢ় লাল রং জ্বলতে থাকে।রূপ-রং ও গন্ধের যূথবদ্ধতায় গ্রীষ্ম নিসর্গের ফুলেল এ আয়োজন নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য ভালোবাসার এক অপার প্রাপ্তি। প্রকৃতির রুক্ষতা ও জীবনের যান্ত্রিকতা ভুলিয়ে তা আমাদের এনে দেয় অপরিমেয় স্বস্তি, অনাবিল প্রশান্তি। দীর্ঘ, প্রসারিত গাছে ফুলের প্রাচুর্যে লাল হয়ে ওঠে আকাশ-বাতাস।নগরীজুড়ে কৃষ্ণচূড়ার রঙিন আভার মাতামাতি। ।