মন্তোষ চক্রবর্তী
পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি ইউএনও”র”
ভূতুরে পরিবেশে বসবাস করতেন ষাটোর্ধ্ব হামিদা।
পরে স্থানীয়রা ভিটা বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরে থাকতে দিয়েছেন। ভাঙা ঘরের উপরে নেই চাল, ভেতরে নেই আলো। পানি ও টয়লেটের ব্যবস্থাও নেই। কাজ করলে খেতে পায়, কাজ না পেলে না খেয়ে দিন-রাত কেটে যায়। কী নিদারুণ কষ্টে বেঁচে আছেন হামিদা খাতুন!
তার স্বামীর নাম মৃত হবিবুর রহমান। হামিদার বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের দো-গাড়িয়া গ্রামে। জানা যায়, হামিদা খাতুনের দুই মেয়ে রেখে তার স্বামী হবিবুর রহমান মারা গেছেন বহু দিন আগে। অভাবের তাড়নায় বড় মেয়ে হাবিজা খাতুনকে এক বাড়িতে কাজে রেখেছিলেন। তারাই বিয়ে দিয়েছেন। ছোট মেয়ে ছাদিয়াকে দত্তক দিয়ে দেন। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটে। দরিদ্রতার নিষ্ঠুর কষাঘাতে এভাবে বেঁচে থাকা খুব কষ্টের!
যে ঘরটিতে থাকেন তিনি সেই ঘরটিও একেবারে জরাজীর্ণ। ঘরটিতে পলিথিন দিয়ে রেখেছেন। বৃষ্টির পানি পড়ে ঘরের মেঝে-দেয়াল স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে থাকে। মানবেতর জীবন যাপন করছেন হামিদা খাতুন।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, পরিত্যক্ত ভিটে-বাড়িতে হামিদাকে থাকলেও দেখার যেন কেউ নেই। অন্যদিকে
হামিদার বাড়িতে নেই তার বিদ্যুৎ সুবিধা, পায়খানা নেই। এমন কি পানি খাওয়া জন্য একটি টিওবয়েলও জুটেনি তার ভাগ্যে এদিকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হয় মিলছে না বয়স্ক অথবা বিধবা ভাতা কার্ড ।
তবে এবিষয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নুরুল ইসলাম জানান, হামিদা খাতুনের জন্য টিন ও কিছু টাকা, বিদ্যুৎ,ও টিওবয়েলও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।