![]()
রোববার (৭ নভেম্বর) সকালে পরিবেশ অধিদফতরে অনুষ্ঠিত কার্বন ট্রেডিং বিষয়ক কর্মশালায় পরিবেশ উপদেষ্টা জানান, রফতানিমুখী শিল্পগুলো আন্তর্জাতিক সরবরাহ চেইনের পরিবেশবান্ধব মানদণ্ড মেনে টেকসই উৎপাদনে সবচেয়ে দ্রুত রূপান্তর ঘটায়।
উপদেষ্টা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে আহ্বান জানান, বৃক্ষরোপণভিত্তিক সিএসআর কার্যক্রমের বাইরে গিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি দক্ষতা, টেকসই কৃষি এবং প্রকৃতিনির্ভর সমাধানে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে হবে।
এছাড়া তিনি বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন। তার বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার, তৃতীয় পক্ষের পর্যবেক্ষণ, কঠোর পরিবেশগত মান বজায় রাখা, সঠিক স্থান নির্বাচন এবং তথ্য প্রকাশ নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ ও জাপানের যৌথ উদ্যোগে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করে কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং সেই সাফল্যকে আন্তর্জাতিকভাবে কার্বন ক্রেডিট হিসেবে ব্যবহারের লক্ষ্যেই এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
উপদেষ্টা বলেন, ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশের কার্বন নিঃসরণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য জাপানের সঙ্গে একটি সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরের কথাও কর্মশালায় জানানো হয়।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা জানিয়েছেন, এই উদ্যোগ বাংলাদেশের পরিবেশবান্ধব শিল্পায়ন ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক প্রভাবকে শক্তিশালী করবে।
পাঠকের মন্তব্য