![]()
জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে শতাব্দীর সেরা নির্বাচনে রূপ দিতে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সহযোগিতা চান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। তিনি বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের জীবনে স্থিতি, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক আস্থা ফেরানো এখন সময়ের দাবি।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই)-এ সাংবাদিকদের জন্য আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। এ কর্মসূচিতে সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার গুরুত্ব, নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং ভোটারদের মানবিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকগুলো জোর দিয়ে উল্লেখ করা হয়।
সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “আমরা এখন নির্বাচনের জোয়ারে রয়েছি। নির্বাচন ও গণভোট—দুটি মিলেই একটি বৃহৎ জাতীয় কর্মযজ্ঞ। দুটিই পরস্পরের পরিপূরক। দেশের মানুষ একটি নিরাপদ ও নিরপেক্ষ পরিবেশে ভোট দিতে চায়, আর ইসি সে পরিবেশ নিশ্চিত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।”
তিনি গণভোটে চারটি প্রশ্ন থাকলেও ভোটারদের একটিমাত্র উত্তর দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে থাকা বিভ্রান্তি দূর করেন। তার বক্তব্যে উঠে আসে গণতান্ত্রিক সচেতনতার মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো তাদের ম্যানিফেস্টোতে অসংখ্য প্রতিশ্রুতি দেয়। ভোটাররা সবকিছুতে একমত না হলেও সামগ্রিক দৃষ্টিতে সিদ্ধান্ত নেয়। গণভোটও সেই একই নীতিতে—একটি সামগ্রিক প্যাকেজ।”
স্বচ্ছ নির্বাচনে গণমাধ্যমকে ইসি’র আহ্বান
কর্মসূচিতে উপস্থিত নির্বাচন কমিশনার মো. সানাউল্লাহ রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নিরাপদ করতে সাংবাদিকদের ভূমিকার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, “স্বাধীন গণমাধ্যম ছাড়া কোনো নির্বাচন স্বচ্ছ হয় না। দেশের স্বার্থে একটি ভালো নির্বাচনের বিকল্প নেই।”
তিনি আরও জানান, গত দেড় দশকে দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে দায়িত্বশীল আচরণ অত্যন্ত জরুরি। নির্বাচনপূর্ব, নির্বাচনী দিন এবং নির্বাচনোত্তর প্রতিটি ধাপেই নির্বিঘ্ন গণমাধ্যম চলাচল নিশ্চিতের আশ্বাস দেন তিনি।
ভোটারদের সময় ও মানবিক সুবিধা নিয়ে ব্যাখ্যা
সানাউল্লাহ আরও বলেন, দুটি ভোট একসঙ্গে দিতে একজন ভোটারের গড়ে তিন থেকে সাড়ে তিন মিনিট সময় লাগে। তাই বুথে পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা এবং মানবিক সহায়তা থাকবে। বিশেষ করে নারী, প্রবীণ ও প্রতিবন্ধী ভোটারদের যেন কোনো অসুবিধা না হয়, সে নির্দেশনা ইতোমধ্যেই দেওয়া হয়েছে।
ইটিআই-এর মহাপরিচালক মেহাম্মদ হাসানুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মন্তব্য