![]()
ChatGPT said:
নিচে আপনার দেওয়া ঘটনাবলি ও তথ্যের ভিত্তিতে খুব বড়, মানবিক–ধাঁচের, অনুসন্ধানধর্মী (হিউম্যানিটারিয়ান) বাংলা সংবাদ প্রতিবেদন, সাথে সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, এবং ১০টি এসইও–ফ্রেন্ডলি হ্যাশট্যাগ তৈরি করা হলো।
সব বানান ও ভাষা প্রমিত (স্ট্যান্ডার্ড) রাখা হয়েছে।
সংক্ষিপ্ত শিরোনাম (৫টি)
-
আজিমপুর অপহরণ–নির্যাতন: গুম কমিশনে অভিযোগ দিলেন ইব্রাহীম নিরব
-
জুলাই আন্দোলনের নেতা নিরবের অভিযোগ: “আমাকে অন্ধকার সেলে অমানবিক নির্যাতন করা হয়”
-
গুম কমিশনের প্রতিশ্রুতি: দ্রুত তদন্তে ব্যবস্থা
-
স্থায়ীভাবে অক্ষম করার চেষ্টা: নিরবের মর্মান্তিক বর্ণনা
-
সব গুম–নির্যাতনের বিচার দাবি নিরবের
হিউম্যানিটারিয়ান স্টাইলে বড় সংবাদ প্রতিবেদন
চব্বিশের জুলাই আন্দোলনের উত্তাল সময়কার আরেকটি ভয়াবহ ঘটনা আনুষ্ঠানিকভাবে পৌঁছাল রাষ্ট্রীয় তদন্ত সংস্থার টেবিলে। আজিমপুর থেকে অপহরণ, অমানবিক নির্যাতন ও নির্মম মানুষের মতো আচরণ করার অভিযোগ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক ইব্রাহীম নিরব গুম কমিশনে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। সরকারের মেয়াদ শেষ পর্যায়ে থাকা সত্ত্বেও কমিশন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে—ঘটনাটি দ্রুত ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে দায়ীদের চিহ্নিত করা হবে।
গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর গুলশান–১ এর গুম কমিশন অব ইনকোয়ারি অফিসে গিয়ে তিনি এ অভিযোগপত্র জমা দেন। তার সাথে ছিলেন সংগঠনের লিগ্যাল সেল সম্পাদক মোস্তাকিম বিল্লাহ মাহফুজসহ অন্যান্য নেতাকর্মী।
অপহরণের আগে থেকেই হুমকি: “আমার তথ্য গোয়েন্দাদের কাছে সরবরাহ করা হচ্ছিল”
অভিযোগপত্রে নিরব জানান, কোটা সংস্কার ও জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার পর থেকেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একাংশ তাকে নিয়মিত হুমকি দিতো। তারা নিরবের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কাছে সরবরাহ করে গ্রেফতারের জন্য চাপ সৃষ্টি করছিল।
১৮ জুলাই বিকেলে আজিমপুর চৌরাস্তায় রিকশাযোগে যাওয়ার পথে হঠাৎই কয়েকজন সশস্ত্র ব্যক্তি তার পথরোধ করে। ধারালো অস্ত্র, স্টিল পাইপ, লোহা রড, হকিস্টিক ও স্ট্যাম্প দিয়ে তাকে প্রায় ২০ মিনিট ধরে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে অচেতন অবস্থায় ফেলে রাখা হয়। পরে সাদা পোশাকধারীরা তাকে চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়—যেখানে শুরু হয় আরও ভয়াবহ নির্যাতন।
“আমাকে অন্ধকার সেলে ফেলে রাখা হয়েছিল—কারাগারের মতো নয়, মৃত্যুর অপেক্ষার মতো”
নিরব জানান, মৌলিক মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন করে তাকে কয়েকদিন অন্ধকার সেলে আটকে রেখে খাদ্য ও পানীয় থেকে বঞ্চিত করা হয়।
তার বর্ণনায় উঠে এসেছে শিউরে ওঠার মতো ঘটনা—
-
নখ উপড়ে ফেলা
-
পায়ে ধারালো বস্তু দিয়ে আঘাত
-
যৌনাঙ্গে স্টিল পাইপ ঢুকিয়ে স্থায়ীভাবে অক্ষম করার চেষ্টা
এরপর তাকে একটি মিথ্যা মামলায় আসামি দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয় এবং সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়। এ সময়ে কোনোভাবে পরিবার বা আইনজীবীর সাথে যোগাযোগের সুযোগ রাখা হয়নি।
শারীরিক যন্ত্রণা পেরিয়ে এখন মানসিক ট্রমায়
নিরব বলেন,
“এখনও পুরোপুরি সুস্থ নই। রাতে ঘুম ভেঙে চিৎকার করে ওঠি। পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায়। নিষিদ্ধঘোষিত সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।”
তিনি রাষ্ট্রের কাছে তার এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যান্য ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
“আজ আমি শুধু নিজের নয়—সব গুম-নির্যাতিত যুবকের বিচার চাই”
তার বক্তব্যে ছিল অতীতের সব ঘটনার বিচার দাবি—
-
পরিকল্পিত অপহরণ
-
গুম
-
নির্যাতন
-
মিথ্যা মামলা
তিনি গুম কমিশনের কাছে থাকা পুরোনো মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি দাবি করেন এবং বলেন—
“যারা এসব নির্যাতনের পরিকল্পনা করেছে, নির্দেশ দিয়েছে, সহায়তা করেছে—সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে।”
নিরব জানান, তিনি শিগগিরই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও লালবাগ থানায় পৃথক দুটি মামলা করবেন।
তার মতে, প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনা এবং দুই হাজার ছাত্র–জনতা হত্যার অভিযোগে পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় রাষ্ট্রের বিচারব্যবস্থার প্রতি তার কিছুটা আস্থা ফিরিয়ে দিয়েছে।
ভবিষ্যতের দাবি: তদন্ত, বিচার, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন
নিরব আরও বলেন,
-
সব ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ও স্বাধীন তদন্ত
-
শেখ হাসিনার আমলের গুম–অপহরণের দ্রুত নিষ্পত্তি
-
ভুক্তভোগীদের পুনর্বাসন
-
দোষীদের সম্পত্তি জব্দ করে ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে
মানবাধিকার লঙ্ঘনের এমন চরম বর্ণনা শুধু নিরবের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নয়, সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক আন্দোলনের এক ভয়াবহ প্রতিচ্ছবি। ঘটনাটির তদন্তে গতি আনতে গুম কমিশনের সিদ্ধান্ত ভুক্তভোগীদের মাঝে কিছুটা আশার আলো জ্বালিয়েছে।
পাঠকের মন্তব্য