![]()
খন্দকার এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে ১০৭ কোটি টাকার অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করেছে সিআইডি। অভিযোগে বলা হয়েছে, পরিবহন খাতে দীর্ঘদিনের চাঁদাবাজি ও আধিপত্যের মাধ্যমে অর্জিত বিপুল অবৈধ সম্পদ তিনি বিদেশে পাচার করেছেন।
সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, এনায়েত উল্লাহ ও তার পরিবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত ১৯৯টি ব্যাংক হিসাবে জমা হয়েছে ২ হাজার ১৩১ কোটি টাকা, যার মধ্যে শুধু ‘এনা ট্রান্সপোর্ট’-এর হিসাবেই জমা পড়েছে ৯৩৪ কোটি টাকা। নানা হিসাব ঘুরিয়ে ‘স্ট্রাকচারিং’ কৌশলে ১০৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা পাচার করা হয়েছে বলে সিআইডির দাবি।
আদালতের আদেশে তার ধানমন্ডির দুটি ফ্ল্যাট, রূপগঞ্জের দুটি প্লট এবং ৫৩টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে—যেখানে মোট স্থিতি প্রায় ১১০ কোটি টাকা।
সিআইডি জানায়, আশির দশকে পরিবহন ব্যবসায় প্রবেশ করা এনায়েত উল্লাহ পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে খাতে একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তার করেন। বিভিন্ন রুটে বাস নামানো থেকে শুরু করে টার্মিনালভিত্তিক চাঁদা—সবই তার সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে ছিল। মামলাটি মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ৪(২) ধারায় দায়ের করা হয়েছে।
পাঠকের মন্তব্য