![]()
ঢাকার মিরপুরের পল্লবীতে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া হত্যার ঘটনায় এলাকায় শীর্ষস্থানীয় এক সন্ত্রাসীর নাম উঠেছে। পলাতক মফিজুর রহমান ওরফে মামুন কয়েক বছর ধরে বিদেশে অবস্থান করছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের কারণে তিনি ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের দিয়ে কিবরিয়াকে হত্যা করিয়েছেন।
নিহত কিবরিয়া (৪৭) পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব ছিলেন। তিনি চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনা-বিক্রি করতেন। গত সোমবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে তিনজন মুখোশধারী সন্ত্রাসী ‘বিক্রমপুর হার্ডওয়্যার অ্যান্ড স্যানিটারি’ দোকানে ঢুকে খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করে হত্যা করেন। হামলার সময় একজন স্থানীয়কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, জনি ভূঁইয়া ও আরও কয়েকজনকে কিবরিয়া হত্যার জন্য ভাড়া করা হয়েছিল; অপর দুই সন্ত্রাসীরও পরিচয় শনাক্ত হয়েছে।
কিবরিয়ার স্ত্রী সাবিহা আক্তার পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। এতে জনিসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলাটি পল্লবী থানা–পুলিশ তদন্ত করছে। পুলিশ জানায়, আটক জনি ভূঁইয়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিবরিয়া হত্যায় সরাসরি অংশ নেওয়া ও ভাড়াটে হিসেবে কাজ করার কথা স্বীকার করেছেন।
মফিজুর রহমান বা মামুনকে ২০২১ সালে পল্লবী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে জামিনে মুক্ত হয়ে তিনি মালয়েশিয়ায় পালিয়ে যান। তিনি ও তাঁর ভাই মশিউর স্থানীয় মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতেন। কিবরিয়া তাদের নির্দেশ অমান্য করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যা করানো হয় বলে পুলিশ ধারণা করছে।
এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে গেছে। ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের নেতারা জানান, কিবরিয়া হত্যার কারণে দলের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতি বেড়েছে। নিহতের পরিবার শোকাহত; স্ত্রী ও দুই মেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। স্বজনেরা জানিয়েছেন, কিবরিয়ার পেছনের ঘটনা মাফিয়া-সন্ত্রাসী কার্যক্রম, দলীয় পদ–পদবির স্বার্থ এবং সম্প্রতি এলাকায় বিশৃঙ্খলার সঙ্গে সম্পর্কিত।
পাঠকের মন্তব্য