![]()
এসএসসি পাসেই ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে চাকরি: জিএসই অপারেটর পদে দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে নিয়োগ
দেশের অন্যতম শীর্ষ বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স আবারও নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ নিয়ে এসেছে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) প্রতিষ্ঠানটি জিএসই অপারেটর (ড্রাইভার) পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
চাকরিপ্রত্যাশী তরুণদের জন্য এটি এক বড় সুযোগ—কারণ ন্যূনতম এসএসসি পাস হলেই আবেদন করা যাবে।
আবেদন গ্রহণ চলবে ২৫ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত।
ইউএস-বাংলার মতে, নির্বাচিত প্রার্থীরা শুধু বেতনই নয়, বরং বিমানবন্দরভিত্তিক নানা সুবিধা এবং প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী অন্যান্য সুযোগও পাবেন।
এ নিয়োগের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের তরুণদের জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, যা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে কর্মহীন পরিবারের জন্য বড় আশার আলো হয়ে উঠতে পারে।
কোথায় কাজের সুযোগ?
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স দেশের ছয়টি প্রধান বিমানবন্দরে জিএসই অপারেটর নিয়োগ দেবে—
-
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (ঢাকা)
-
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (চট্টগ্রাম)
-
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (সিলেট)
-
রাজশাহী বিমানবন্দর
-
যশোর বিমানবন্দর
-
সৈয়দপুর বিমানবন্দর
বিমানবন্দর–নির্ভর এসব কর্মস্থল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের তরুণদের স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে, যা পরিবার-পরিজনের সঙ্গে থেকেই কাজ করার সুবিধা দেবে অনেককে।
যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি পাস হলেই আবেদন
জিএসই অপারেটর পদের জন্য আবেদনকারীদের থাকতে হবে—
-
সর্বনিম্ন এসএসসি পাস এবং জিপিএ ৩.০০
-
অটো ও ম্যানুয়াল গাড়ি চালানোর কমপক্ষে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা
-
২৫ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে বয়স
-
বিআরটি–কর্তৃক ইস্যুকৃত বৈধ পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স (হালকা/মাঝারি/ভারী)
-
চোখের দৃষ্টি ৬/৬
-
ন্যূনতম উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি (১৬৩ সেমি)
-
অধূমপায়ী হতে হবে
-
কোনো অপরাধমূলক মামলা থাকা যাবে না
যারা আগে কোনো এয়ারলাইন্সে জিএসই অপারেটর হিসেবে কাজ করেছেন, তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
কি কাজ করতে হবে?
জিএসই (Ground Support Equipment) অপারেটররা বিমানবন্দরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তাদের কাজের মধ্যে থাকবে—
-
ব্যাগেজ টো ট্র্যাক্টর
-
এয়ারক্রাফট টো ট্র্যাক্টর
-
গ্রাউন্ড পাওয়ার ইউনিট
-
এয়ার কন্ডিশনিং ভ্যান
-
ওয়াটার কার্ট
-
ফ্লাশ কার্ট
-
বেল্ট লোডার
-
প্যাসেঞ্জার স্টেপ
-
এয়ার স্টার্টিং ইউনিট
-
ক্যাটারিং হাই লিফট
—এসব গুরুত্বপূর্ণ গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি দক্ষভাবে পরিচালনা করা।
প্রতিটি শিফট হবে ৮ ঘণ্টা।
সাধারণ যাত্রীদের সুষ্ঠু যাত্রা নিশ্চিত করতে এসব যন্ত্রপাতি পরিচালনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিমান ওঠানামা ও যাত্রী সেবার পুরো প্রক্রিয়ায় জিএসই অপারেটরদের ভূমিকাকে ‘অবিরাম মানবিক সেবা’ বলেই অভিহিত করেছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।
বেতন ও সুবিধা
ইউএস-বাংলা জানায়, প্রার্থীরা পাবেন—
-
মাসিক বেতন: ৩০,০০০ টাকা
-
ঢাকা বিমানবন্দরে—শিফট অনুযায়ী খাবার (নাশতা/দুপুর/রাতের খাবার)
-
অন্য বিমানবন্দরে—খাবার ভাতা
-
প্রবেশন শেষে বছরে ২টি উৎসব ভাতা
-
চিকিৎসা বীমা সুবিধা
-
অন্যান্য কোম্পানি সুবিধা
বেতন কাঠামো বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এনে দিতে পারে, যা কর্মসংকটের সময় আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে।
কীভাবে আবেদন করবেন?
আবেদনকারীদের সরবরাহ করতে হবে—
-
আপডেটেড সিভি
-
অরিজিনাল ড্রাইভিং লাইসেন্সের সামনের ও পেছনের ছবি
-
লাইসেন্স না থাকলে ডেলিভারি স্লিপের ছবি
-
শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের কপি
এসব কাগজপত্র স্ক্যান করে PDF ফাইলে অনলাইনে জমা দিতে হবে নির্দিষ্ট লিংকের মাধ্যমে।
মানবিক দৃষ্টিকোণ: কর্মসংস্থানের প্রত্যাশায় হাজারো তরুণ
বেকারত্বের কঠিন বাস্তবতায় দেশের বহু তরুণ জীবিকার টানাপোড়েন সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
এমন সময় ইউএস-বাংলার মতো বড় প্রতিষ্ঠান এই ধরনের নিয়োগ দিলে হাজারো পরিবার নতুনভাবে স্বপ্ন দেখতে পারে।
বিশেষ করে যারা এসএসসি পাসের পর ভালো বেতনের স্থায়ী চাকরি খুঁজছেন—তাদের জন্য এটি একটি আশাব্যঞ্জক সুযোগ।
একজন জিএসই অপারেটর শুধু চাকরি নয়—একটি আন্তর্জাতিক মানের পরিবেশে কাজ, দক্ষতা উন্নয়ন, ভবিষ্যতে আরও ভালো পদের সুযোগ এবং পরিবারের জন্য দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা অর্জনের সুযোগ পান।
পাঠকের মন্তব্য