![]()
নতুন রাজনৈতিক দল ‘আমজনতার দল’ নিবন্ধনের দাবিতে ৪ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সামনে অনশন করছেন দলের সদস্য সচিব তারেক রহমান। আজ রোববার দুপুরে তাকে দেখতে যান বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা-৬ আসনে দলের মনোনীত এমপি প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, এবং তিনি অনশনের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেন।
ইশরাক হোসেন বলেন, “আমি এটা অস্বীকার করবো না, উড়িয়ে দেয়ারও সুযোগ নেই। তারেক রহমান সরকারের সমালোচক ছিলেন, সত্যকে সত্য, মিথ্যাকে মিথ্যা বলেছেন। এটাই হয়তো তাকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে ভয় পাওয়ার কারণ।” তিনি আরও যোগ করেন, “একটা সময় ছিল যখন বিশেষ কিছু ব্যক্তির সমালোচনা মানেই রাষ্ট্রদ্রোহ। সেই সময়েও তারেক মুখ খুলেছেন। তাই তার দলকে নিবন্ধন না দেয়ার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে—এটা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।”
এর আগে ৫ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব রফিকুল ইসলামের স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়, আমজনতার দল নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় ২২টি জেলার মধ্যে ২টি জেলায় এবং ১০০টি উপজেলার মধ্যে ৬৭টি উপজেলায় দলটির অফিসের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এজন্য কমিশন দলটির নিবন্ধন অনুমোদন করেনি।
তবে তারেক রহমান এই ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, “আমার দল সব শর্ত পূরণ করেছে। অথচ দুজন ছাত্র উপদেষ্টার কারণে আমাদের নিবন্ধন আটকে দেওয়া হয়েছে।”
ইশরাক হোসেন নিবন্ধন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি অভিযোগ করেন, ৫৭টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে অনেকের কার্যক্রম, অফিস বা কর্মসূচি নেই। আবার কিছু দল, যার নাম ভারতের বিজেপির মতো, তাদের অফিস পাওয়া যায় না—তবুও তারা নিবন্ধন পেয়ে গেছে। অন্যদিকে, আমজনতার দলের মতো দল নিবন্ধন না পেলেও ভুঁইফোড় দলগুলো কোর্টের আদেশে নিবন্ধন পাচ্ছে, যা গণতন্ত্রের জন্য উদ্বেগজনক।
উল্লেখ্য, ৪ নভেম্বর চূড়ান্ত পর্যালোচনা শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টিকে নিবন্ধন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। ১২ নভেম্বরের মধ্যে আসা দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত নিবন্ধন দেওয়া হবে।
পাঠকের মন্তব্য