![]()
বাংলাদেশে পুঞ্জীভূত প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) শীর্ষ উৎস দেশ যুক্তরাজ্য হলেও ২০২৪–২৫ অর্থবছরে দেশটি থেকে বিনিয়োগ কমেছে ৪০ দশমিক ৭১ শতাংশ। শুধু যুক্তরাজ্য নয়—সরকারি সফরের আওতায় যাওয়া বেশিরভাগ দেশ থেকেই বিনিয়োগ কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র, কোরিয়া, চীন, ভারত ও শ্রীলঙ্কা থেকে নিট এফডিআই প্রবাহ কমেছে। যদিও সিঙ্গাপুর, হংকং, মালয়েশিয়া ও জাপান থেকে বিনিয়োগ বেড়েছে।
বিনিয়োগ আকৃষ্টে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন গত এক বছরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, চীন, মালয়েশিয়া, তুরস্ক ও কোরিয়াসহ একাধিক দেশ সফর করলেও অধিকাংশ দেশ থেকেই প্রত্যাশিত বিনিয়োগ আসেনি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নিট এফডিআই প্রবাহ ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে ঠিকই, তবে এর মূল উৎস ছিল পুনর্বিনিয়োগ (reinvested earnings) ও আন্তঃপ্রতিষ্ঠান ঋণ (intra-company loan)। নতুন বা গ্রিনফিল্ড বিনিয়োগের হার বরং কমেছে ১৬ দশমিক ৯০ শতাংশ।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, “বর্তমান বিনিয়োগ পরিবেশে এফডিআই প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক হলেও নতুন ইকুইটি বিনিয়োগ কমে যাওয়া উদ্বেগের বিষয়। এটি দেশের ব্যবসায়িক পরিবেশে নতুন বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতার ইঙ্গিত দেয়।”
অন্যদিকে, বিডা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “গণ–অভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়েও বাংলাদেশে ১৯ শতাংশের বেশি এফডিআই প্রবৃদ্ধি বৈশ্বিক প্রবণতার বিপরীতে এক অনন্য দৃষ্টান্ত। এটি আন্তর্জাতিক মহলের আস্থার প্রতিফলন।”
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, প্রশাসনিক জটিলতা হ্রাস এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এখন জরুরি।
পাঠকের মন্তব্য