বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ একপেশে এবং তা জাতির ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়ার এখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। যেকোনো আদেশ রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষরিত হতে হবে।”
মির্জা ফখরুল এসব মন্তব্য করেন গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে। বুধবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা—ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, সালাহউদ্দিন আহমেদ ও মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন।
⚖️ বিএনপির অবস্থান
ফখরুল বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন অযৌক্তিক ও অবিবেচনাপ্রসূত। প্রয়োজনে আমরা বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরব।”
তিনি অভিযোগ করেন, “যেসব দফায় সবাই সম্মত হয়েছিল, তার মধ্যে কিছু দফাকে অগোচোরেই পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রস্তাবনাগুলো ২৭০ দিনের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হবে, যা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিপরীত।”
ফখরুল আরও বলেন, “ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব ও সুপারিশ প্রতীয়মান করে যে দীর্ঘ এক বছরব্যাপী রাজনৈতিক দলসমূহের সঙ্গে আলোচনার সময় ও অর্থ উভয়ই অপচয় হয়েছে। এটি প্রহসনমূলক এবং জাতির সঙ্গে প্রতারণা।”
তিনি মনে করান, “গণতন্ত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্ন মত থাকা স্বাভাবিক এবং তা স্বাভাবিকভাবেই স্বীকৃত হতে হবে।”
পাঠকের মন্তব্য