
ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) সভাপতি ও মাছরাঙা টিভির বার্তা সম্পাদক রেজওয়ানুল হক রাজা মনে করেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রসারে সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের মধ্যে ভেদ টানা এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, “এখন ইউটিউবার এবং সাংবাদিক একাকার হয়ে গেছে। ফলে ইউটিউবারদের দায়দায়িত্ব ও অপকর্মের দায় সাংবাদিকদের নিতে হচ্ছে।”
আজ বুধবার ‘বাংলাদেশের গণমাধ্যমে সংস্কার: সুপারিশ, বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে রেজওয়ানুল হক এসব মন্তব্য করেন। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে বৈঠকটি আয়োজন করা হয়।
তিনি সাংবাদিক নিবন্ধন ও ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণের পক্ষে মত দেন, যা গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশেও উল্লেখ রয়েছে। তবে তিনি সংস্কার কমিশনের সব সুপারিশে একমত নন। তিনি বলেন, “কমিশনের ভালো দিকগুলো বাস্তবায়ন করা যেত। কিন্তু সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত মামলা ও অ্যাক্রেডিটেশন বাতিলের মাধ্যমে কোনো সমাধান আসেনি; বরং সিস্টেমে পরিবর্তন আনার প্রয়োজন ছিল।”
রেজওয়ানুল হক সাংবাদিকদের রাজনৈতিক বিভাজনকেও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “বিএনপির আমলের আগে ইউনিয়ন অভিন্ন ছিল। পরে বিভাজন শুরু হয়—বিএনপি-জামায়াতপন্থী, আওয়ামীপন্থী ও বামপন্থী ধারা। এই বিভাজন এখনকার অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে।”
গোলটেবিল বৈঠকে অন্যান্য অংশগ্রহণকারীরা ছিলেন: গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সদস্য এ কে আজাদ, সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহ্ফুজ আনাম, সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির মিডিয়া প্রধান মওদুদ হোসেন আলমগীর (পাভেল), জামায়াতে ইসলামীর মিডিয়া প্রধান মতিউর রহমান আকন্দ, এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এস এম রেজওয়ান উল আলম, এমআরডিআই নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান ও গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য কামরুন্নেসা হাসান।
পাঠকের মন্তব্য