
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, সরকার আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রকৃত আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাবে, তবে কেউ বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে পর্যবেক্ষণ কার্যক্রমের অপব্যবহার করলে সে বিষয়ে সতর্ক থাকবে।
আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বলেন, যারা পর্যবেক্ষক হিসেবে আসতে ইচ্ছুক, তাদের আমরা উৎসাহিত করব। তবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নির্বাচনের নামের পেছনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা গ্রহণযোগ্য নয়।
উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে আয়োজনের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই), ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং কমনওয়েলথসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইতোমধ্যে বাংলাদেশে প্রাক-নির্বাচনী মূল্যায়ন মিশন পাঠিয়েছে, যা একটি ইতিবাচক লক্ষণ।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে আরও আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আসবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ, স্বাধীন ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা ও আস্থা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, যদি পর্যবেক্ষকরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করে এবং জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকে।
তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সম্পৃক্ততাকে গুরুত্ব দেয় এবং গণতান্ত্রিক ও প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নে সহায়ক গঠনমূলক সহযোগিতাকে স্বাগত জানায়।
এক প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ আদালতের আদেশ এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভারতে পালিয়ে যাওয়া ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়েছে। তবে ভারতের পক্ষ থেকে এখনো কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। তিনি জানান, বাংলাদেশ গত বছরের ডিসেম্বর মাসে প্রয়োজনীয় দলিলসহ ভারতকে একটি কূটনৈতিক নোট পাঠিয়েছে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যর্পণের অনুরোধ করেছে।
পাঠকের মন্তব্য