
সারাদেশে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭০ লাখ শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হয়েছে। ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী সব শিশুকে বিনামূল্যে এই টিকা দেওয়া হচ্ছে, যা চলবে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ইপিআই, ইউনিসেফ বাংলাদেশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত “টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির সাফল্য ও শক্তিশালীকরণ” শীর্ষক সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশে ১ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুরাই টাইফয়েড জ্বরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়। ২০২১ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী, সে বছর দেশে প্রায় ৮ হাজার মানুষ টাইফয়েডে মারা যায়, যার মধ্যে প্রায় ৬ হাজারই ছিল ১৫ বছরের নিচে। দূষিত পানি ও অস্বাস্থ্যকর খাবারই এই সংক্রমণের প্রধান কারণ বলে উল্লেখ করা হয়।
ইপিআই অ্যান্ড সারভেইলেন্সের উপপরিচালক ডা. মোহাম্মদ শাহরিয়ার সাজ্জাদ টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সরকার টিকাদান কর্মসূচিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে দেশের টিকাদান কার্যক্রম ইতোমধ্যেই বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে।
বর্তমানে ‘টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫’-এর আওতায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সব শিশুকে বিনামূল্যে টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। এই ক্যাম্পেইনে মাদ্রাসা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা (প্লে থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত) এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে থাকা শিশুরাও টিকার আওতায় আসবে।
লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, মোট প্রায় ৪ কোটি ৯০ লাখ শিশুকে এক ডোজ টিসিভি টিকা দেওয়া হবে। এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে ১২ অক্টোবর থেকে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ দপিকা শর্মা।
পাঠকের মন্তব্য