জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক ব্যাংক লেনদেনের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। এ মামলার অনুসন্ধানের দায়িত্বে ছিলেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক আবু মোহাম্মদ আনোয়ারুল মাসুদ।
দুদকের তদন্তে জানা যায়, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২ কোটি ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৩২৪ টাকার সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখেছেন। পাশাপাশি তার নামে ছয়টি ব্যাংকের আটটি ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক হিসাবে মোট ২৪ কোটি ৮৯ লাখ ৭১ হাজার ৬৫৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তের বৈধ আয়ের উৎস থেকে অর্জিত সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৯৮ লাখ ১ হাজার ২৩০ টাকা হলেও, তার মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ১৯ লাখ ৯৮ হাজার ৫৫৪ টাকা। সর্বশেষ আয়কর নথি অনুযায়ী তার নিট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৮৩ হাজার ৯৬ টাকা।
এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এছাড়া, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর স্ত্রী ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুনের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধানে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫০ লাখ ২ হাজার ৬০১ টাকার সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মিলেছে। তার নামে ও বেনামে আরও সম্পদ থাকতে পারে বলে দুদক ধারণা করছে। এ কারণে দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৬(১) ধারায় তার কাছে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
পাঠকের মন্তব্য