বাংলাদেশের রাজনীতিতে আলোচিত ও বিতর্কিত সময় এক–এগারো। সেই সময়কার সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে এবার ‘অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
লন্ডন থেকে বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় ও শেষ পর্বে তিনি বলেন, “এক–এগারোর সরকার তো একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি সরকার ছিল। তারা সবকিছু ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে চেয়েছিল এবং দেশকে বিরাজনীতিকরণের পথে ঠেলে দিতে চেয়েছিল।”
রাজনীতি ভাঙার ষড়যন্ত্র
তারেক রহমানের মতে, এক–এগারোর সময় দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
তিনি বলেন, “দেশে ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়েই রাজনীতি গড়ে উঠেছিল। ভুলত্রুটি থাকলেও গণতান্ত্রিক ভিত্তি ধীরে ধীরে শক্ত হচ্ছিল। কিন্তু সেই সরকার সব ভেঙে দিতে চেয়েছিল, দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছিল।”
তিনি আরও ইঙ্গিত দেন, পরবর্তীতে “গণতন্ত্রের নামে” সেই ধারারই আরেক রূপ তিনি দেখেছেন — যা দেশকে নতুনভাবে সংকটে ফেলেছে।
গণতন্ত্র ও ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা
বিএনপির এই নেতা বলেন, এখন সময় সামনের দিকে তাকানোর। “বিএনপি সামনের দিকে যেতে চায়। দেশকে এগিয়ে নিতে হবে,” — বলেন তিনি।
তার বক্তব্যে স্পষ্ট হয়, অতীতের রাজনৈতিক বিভাজন নয়, বরং পুনরায় গণতান্ত্রিক কাঠামো পুনর্গঠনের আহ্বান জানাতে চান তিনি।
১৭ বছর পর প্রকাশ্যে সাক্ষাৎকার
২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন তারেক রহমান। দীর্ঘ ১৭ বছর পর কোনো গণমাধ্যমে এটাই তার প্রথম সাক্ষাৎকার।
বিবিসি বাংলার এই সাক্ষাৎকারে তিনি কথা বলেছেন সংস্কার, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক, ওয়ান–ইলেভেন, ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা নিয়ে।
সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্ব প্রকাশিত হয় সোমবার, আর শেষ পর্বটি প্রকাশিত হয় মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর ২০২৫)।
পাঠকের মন্তব্য