গাজায় অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনিদের জন্য ত্রাণবাহী নৌবহর ইসরাইলি নৌবাহিনী আটকানোর ঘটনায় ইউরোপ থেকে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা থেকে মধ্যপ্রাচ্য পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার এই নৌবহরে রাজনীতিবিদ, মানবাধিকারকর্মী ও জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থানবার্গসহ ৪০০-রও বেশি যাত্রী ছিলেন। ৪১টি জাহাজ নিয়ে গত মাসে বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করা এই বহরকে উপকূলে পৌঁছানোর আগেই থামিয়ে দেয় ইসরাইলি বাহিনী।
স্পেনের বার্সেলোনায় প্রায় ১৫ হাজার মানুষ সড়কে নেমে “গাজা তুমি একা নও”, “ইসরাইলকে বয়কট করো” ও “ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা” স্লোগানে বিক্ষোভ করেছে। একইভাবে ডাবলিন, প্যারিস, মার্সেই, বার্লিন, দ্য হেগ, তিউনিস, ব্রাসিলিয়া ও বুয়েনস আয়ারসসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
ইতালিতে শ্রমিক ইউনিয়নগুলো সংহতি প্রকাশ করে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। রোম, মিলান ও ফ্লোরেন্সে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইসরাইলি দূতাবাস অভিমুখে মিছিল করেছে হাজারো মানুষ।
ব্রাসেলসে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সামনে প্রায় তিন হাজার মানুষ সমাবেশ করে ইইউকে ইসরাইলের সঙ্গে অর্থনৈতিক চুক্তি স্থগিতের আহ্বান জানায়। জেনেভা, এথেন্স ও কুয়ালালামপুরেও বিক্ষোভকারীরা ইসরাইলবিরোধী স্লোগান দিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে পুলিশের সঙ্গে।
বিক্ষোভকারীরা ইসরাইলকে “বর্ণবাদী রাষ্ট্র” আখ্যা দিয়ে গাজার অবরোধ তুলে মানবিক সাহায্যের পথ খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
পাঠকের মন্তব্য