সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে দেশে কোনো ধরনের নাশকতার শঙ্কা নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠক শেষে তিনি জানান, পূজার সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিশদ চিত্র
এবার দুর্গাপূজায় মোট ২ লাখ ৩ হাজার ৫৬৪ জন আনসার সদস্য, ৭০ হাজার পুলিশ, এক লাখ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য এবং ৪৩০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপগুলোতে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন—
“পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এবং ফ্যাসিস্টের দোসররা কিছু অপতথ্য ছড়িয়ে পূজার সময়কে অস্থির করার চেষ্টা করছে। সরকার সেটা কঠোর হাতে দমন করবে।”
মণ্ডপের সংখ্যা
এ বছর সারা দেশে ৩৩ হাজার ৩৫৫টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা গত বছরের তুলনায় এক হাজার বেশি। উৎসবের পরিধি ও অংশগ্রহণ বাড়লেও প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা আরও জোরদার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
নির্বাচন প্রস্তুতির কথাও জানালেন
বৈঠকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গও উঠে আসে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান—
“প্রধান উপদেষ্টা ইতিমধ্যেই জাতিসংঘকে অবহিত করেছেন যে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্বাচনের জন্যও সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।”
মানবিক দিক
শারদীয় দুর্গাপূজা শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং এটি সামাজিক সম্প্রীতি, সহনশীলতা ও সংস্কৃতির প্রতীক। ভক্ত ও দর্শনার্থীরা যেন নিরাপদে পূজা উপভোগ করতে পারেন, সেজন্য এই ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সরকার বলছে, সকল সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে আনন্দ ভাগাভাগি করবে, এটাই সবচেয়ে বড় বার্তা।
পাঠকের মন্তব্য