বিশ্বের চার প্রভাবশালী দেশ—কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও পর্তুগাল—সম্প্রতি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ অবস্থান জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন,
“আমরা সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে ছিলাম। ফিলিস্তিনের জনগণকে সমর্থন করে আসছি। চার দেশের স্বীকৃতিকে আমরা স্বাগত জানাই। এটা নিঃসন্দেহে একটি সুখবর।”
নতুন স্বীকৃতির তাৎপর্য
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগালের স্বীকৃতি ফিলিস্তিনের চূড়ান্ত স্বাধীনতার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, “ফিলিস্তিনের জনগণকে এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।”
তিনি আরও জানান, ফ্রান্সও শিগগিরই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। এটি হলে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য দেশের মধ্যে চারটির স্বীকৃতি পাবে ফিলিস্তিন।
বাংলাদেশের অবস্থান
বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের পাশে রয়েছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকেই ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের নীতিগত সমর্থন অবিচল।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “ফিলিস্তিনের মুক্তি শুধু একটি ভূখণ্ডের প্রশ্ন নয়; এটি মানবিক ন্যায়বিচার ও আত্মনিয়ন্ত্রণের প্রশ্ন।”
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট
বর্তমানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশন ঘিরে নিউইয়র্কে ফিলিস্তিন ইস্যু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। পশ্চিমা শক্তিধর দেশগুলোর একের পর এক স্বীকৃতি বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন ভারসাম্য তৈরি করছে।
বাংলাদেশ মনে করে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এই পদক্ষেপ ফিলিস্তিনি জনগণের সংগ্রামকে বৈধতা দেবে এবং মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার পথকে আরও সুগম করবে।
পাঠকের মন্তব্য