জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনের আগেই গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরাইলের ওপর চাপ সৃষ্টির অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে এএফপি জানিয়েছে।
২০২৩ সালে হামাসের হামলার পর ইসরাইলের গাজায় লাগাতার তীব্র হামলার কারণে তাদের বহু পুরোনো মিত্র দেশ অবস্থান বদলেছে। এর ফলে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ, প্রাণহানি ও খাদ্য সংকট তৈরি হয়েছে এবং পুরো অঞ্চল মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতির ঘোষণা দেবেন বলে বিবিসি জানিয়েছে। তিনি এর আগে স্পষ্ট করেছিলেন, ইসরাইল যদি যুদ্ধবিরতিতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তবে যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে। এ পদক্ষেপকে তিনি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান ও শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান বলে আখ্যা দিয়েছেন। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ সিদ্ধান্তকে সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
এদিকে পর্তুগালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও জানিয়েছে, তারাও একই দিনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে। তাদের যুক্তি, চলমান মানবিক বিপর্যয় এবং ইসরাইলের বারবার দখলনীতির কারণে এ সিদ্ধান্ত জরুরি হয়ে উঠেছে।
আগামী কয়েক দিনে আরও প্রায় ১০টি দেশ একই পথে হাঁটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফ্রান্স ও কানাডাও জাতিসংঘ অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার বলেন, ইসরাইলের প্রতিশোধের ভয় বিশ্বকে সিদ্ধান্ত নিতে থামিয়ে রাখতে পারবে না।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরাইলে ১,২১৯ জন নিহত হওয়ার পর শুরু হওয়া যুদ্ধে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৫,২০৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। জাতিসংঘ এ তথ্যকে নির্ভরযোগ্য হিসেবে স্বীকার করেছে।
পাঠকের মন্তব্য