যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম জানিয়েছে, দীর্ঘদিনের মিত্র ইসরাইলের প্রতি এটি এক ধরনের নীতিগত পরিবর্তন। ঐতিহাসিকভাবে ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ সমর্থক থাকলেও, ২০২৩ সালে হামাসের হামলার পর গাজায় ইসরাইলের টানা আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্য তাদের অবস্থান বদলেছে।
লন্ডন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গাজায় ব্যাপক ধ্বংস, মৃত্যু ও খাদ্য সংকট তৈরি হয়ে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার জুলাইয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের আগে ইসরাইল যদি যুদ্ধবিরতির জন্য কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। বিবিসি ও অন্যান্য গণমাধ্যম জানিয়েছে, তিনি রোববারই এ ঘোষণা দেবেন।
স্টারমারের মতে, এই সিদ্ধান্ত দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে একটি কার্যকর শান্তি প্রক্রিয়ায় অবদান রাখবে।
অন্যদিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এ সিদ্ধান্তকে ‘সন্ত্রাসবাদ পুরস্কৃত করা’ ও ‘জিহাদি মতাদর্শকে তুষ্ট করা’ বলে সমালোচনা করেছেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগে এ স্বীকৃতি আসছে, যেখানে ব্রিটেনের জি৭ অংশীদার ফ্রান্সসহ প্রায় ১০টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এমন সময়ে এই ঘোষণা এলো, যখন ইসরাইল গাজা সিটিতে নতুন করে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে এবং জাতিসংঘ সেখানে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করেছে।
এএফপি’র তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরাইলে ১,২১৯ জন নিহত হয়, অধিকাংশই বেসামরিক। এর জবাবে ইসরাইলের প্রতিশোধমূলক অভিযানে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী অন্তত ৬৫,২০৮ জন প্রাণ হারিয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক। জাতিসংঘ এই পরিসংখ্যানকে বিশ্বাসযোগ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
পাঠকের মন্তব্য