ঢাকা, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ – বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, স্বৈরাচার পতনের পরও দেশে একটি ‘অদৃশ্য শক্তি’ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, যা নির্বাচনকে ঘিরে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগকে বিনষ্ট করার চেষ্টা করছে।
শনিবার কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
তারেক রহমান বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে হাঁটলেও কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনের নামে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য নানা শর্ত আরোপ করছে। এতে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি হচ্ছে বলে অনেকেই মনে করছেন।”
তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইস্পাতকঠিন ঐক্য ধরে রাখতে পারলে জনগণের রায় ধানের শীষের পক্ষেই আসবে। এখন বসে থাকার সময় নেই—আমাদের লক্ষ্য জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা।”
বিএনপির নেতাকর্মীদের ব্যক্তিস্বার্থে দলের নাম ব্যবহার না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শহীদ জিয়া ও খালেদা জিয়ার সৈনিকদের সচেতন থাকতে হবে, যেন কেউ বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে।
সংস্কার প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, “সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে অবশ্যই, তবে জনগণের অধিকার নিশ্চিত না করে কোনো সংস্কারই টেকসই হবে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের অভিপ্রায়ের প্রতিফলন হলেও, এর কাছে পূর্ণ রাজনৈতিক সরকারের মতো পারফরম্যান্স আশা করা ঠিক হবে না।”
তিনি ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তির ঐক্য বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, “নিজেদের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি হলে পরাজিত অপশক্তির পুনরুত্থান ঘটতে পারে। তাই এখনই সতর্ক হতে হবে।”
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরিফুল আলম এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম এবং প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল।
পাঠকের মন্তব্য