জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ বৃহস্পতিবার গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির সর্বশেষ প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি করতে যাচ্ছে।
বারবার মার্কিন ভেটোর কারণে প্রস্তাব পাস না হলেও, সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য দেশগুলো এই পদক্ষেপকে সমর্থন করছে। এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ-ভিত্তিক বার্তা সংস্থা এএফপি।
ইসরাইলের টানা প্রায় দুই বছরের আগ্রাসন এবং জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক দুর্ভিক্ষ ঘোষণার প্রেক্ষিতে আগস্টের শেষ দিকে ১০টি অস্থায়ী সদস্য বর্তমান খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু করে। আগের খসড়ায় মানবিক সহায়তায় বাধা অপসারণের আহ্বান জানানো হয়েছিল।
সর্বশেষ ভেটোর পর পরিষদের অন্যান্য ১৪ সদস্যের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তারা অভিযোগ করেন, গাজার জনগণের দুর্ভোগ কমাতে ইসরাইলকে চাপ প্রয়োগে নিরাপত্তা পরিষদের অক্ষমতা নিয়ে হতাশা বাড়ছে।
বৃহস্পতিবার ভোটে যাওয়া নতুন খসড়ায় সহায়তা প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করার পাশাপাশি গাজায় অবিলম্বে, নিঃশর্ত ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের তাৎক্ষণিক মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই একাধিকবার এমন প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। সর্বশেষ গত জুনে তারা তাদের মিত্র ইসরাইলকে রক্ষায় ভেটো প্রয়োগ করে।
একজন ইউরোপীয় কূটনীতিক এএফপিকে বলেন, এইবারের প্রচেষ্টা মূলত মার্কিন ভেটোর হুমকির কাছে নতি স্বীকার না করার বার্তা। তাঁর ভাষায়, “চেষ্টা না করলে যুক্তরাষ্ট্রের কাজ সহজ হয়ে যাবে। কিন্তু এবার তাদেরকে কাউন্সিলের ১৪ সদস্য ও বিশ্ব জনমতের সামনে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এটি হয়তো গাজার মানুষের বাস্তব পরিস্থিতি খুব বেশি পরিবর্তন করবে না, তবে অন্তত আমরা দেখাতে পারব যে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
এদিকে মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ-নির্ধারিত একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন জানায়, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলের কর্মকাণ্ডকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে, যা ফিলিস্তিনিদের ধ্বংসের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়েছে।
আগামী সপ্তাহে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।
পাঠকের মন্তব্য