ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্প্রতি সেফালী (১৮) ও সেলিম (২৪) দম্পতির প্রথম সন্তান জন্ম নিয়েছে সুস্থভাবে। ডাক্তারদের নিয়মিত পরামর্শ, পুষ্টিকর খাবার এবং সচেতনতার কারণে মা ও শিশু দুজনেই ভালো আছেন।
এক সময় গ্রামে সন্তান প্রসবে মা ও শিশুর মৃত্যুহার ছিল আশঙ্কাজনক। এখন মানুষ বেশি সচেতন হয়েছে, ডাক্তারের শরণাপন্ন হচ্ছে, হাসপাতালে সন্তান জন্ম দিচ্ছে। এই পরিবর্তনের ফলেই বাংলাদেশ শিশু মৃত্যুহার হ্রাসে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) বাস্তবায়নে সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ এমডিজি পদক পেয়েছে। বিশেষ করে নারী ও শিশু উন্নয়নে সচেতনতা বৃদ্ধি, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ, টিকা ও পুষ্টি কার্যক্রম বিস্তারে এ অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শিক্ষা, গণমাধ্যম এবং সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প সচেতনতা বাড়াতে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে। ইউনিসেফের সহায়তায় “শিশু ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম” প্রকল্পও তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখেছে।
আশার কথা হলো, সরকারের পদক্ষেপ, গণমাধ্যমের প্রচারণা এবং জনগণের সহযোগিতায় ২০৩০ সালের মধ্যে শুধু মা ও শিশু মৃত্যুহার নয়, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অন্যান্য লক্ষ্যও অর্জন সম্ভব হবে।
পাঠকের মন্তব্য