ঢাকা: ১১ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার, নির্বাচন কমিশন (ইসি) নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ের তদন্ত যাচাই-বাছাই পরবর্তী বৈঠকে বসবে। এই বৈঠকে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন সংক্রান্ত আলোচনাসহ বিবিধ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। ইসি আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন অনুমোদন দিয়ে গেজেট প্রকাশ ও সনদ প্রদান করবে।
ইসির উপসচিব মো. মাহবুব আলম শাহ্ সই করা একটি চিঠিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, সীমানা পুনর্নির্ধারণ এবং নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হবে।
নিবন্ধন প্রক্রিয়ার রোডম্যাপ:
ইসি ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। যদি কোনও দলের বিষয়ে দাবি বা আপত্তি আসে, তবে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আপত্তি শুনানি হবে। যদি কোনও আপত্তি না আসে, তবে ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে গেজেট প্রকাশ এবং সনদ প্রদান করা হবে।
২২টি দলের প্রাথমিক বাছাই:
বর্তমানে ২২টি দল প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে এবং তাদের নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। ২২টি দল হলো:
-
ফরওয়ার্ড পার্টি
-
আমজনতার দল
-
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি)
-
বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি)
-
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি
-
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী)
-
মৌলিক বাংলা
-
বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি
-
জাতীয় জনতা পার্টি
-
জনতার দল
-
জনতা পার্টি বাংলাদেশ
-
বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি
-
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)
-
বাংলাদেশ জাতীয় লীগ
-
ভাসানী জনশক্তি পার্টি
-
বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ
-
বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)–সিপিবি (এম)
-
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ–শাহজাহান সিরাজ)
-
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম
-
নেজামে ইসলাম পার্টি
-
বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস)
-
বাংলাদেশ সলুশন পার্টি
-
নতুন বাংলাদেশ পার্টি
নিবন্ধনের শর্ত:
আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে ইচ্ছুক দলগুলোর একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, এক তৃতীয় জেলা ও ১০০টি উপজেলা কমিটি এবং প্রতিটি কমিটিতে ২০০ ভোটারের সমর্থনের প্রমাণ থাকতে হয়। এছাড়া, যেকোনো দলের সদস্য যদি পূর্বে সংসদ সদস্য ছিলেন বা পূর্বের নির্বাচনে পাঁচ শতাংশ ভোট পেয়ে থাকেন, তাহলে সেই দলও নিবন্ধন পাওয়ার জন্য যোগ্য হতে পারে। এসব শর্ত পূরণের পর দলগুলোকে নিবন্ধনের সুযোগ দেয়া হবে।
নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনা:
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানিয়েছেন, ২২টি দল সম্পর্কিত জেলাভিত্তিক তদন্ত প্রতিবেদন তাদের কাছে আসছে এবং যেগুলোর প্রতিবেদন পাইপলাইনে রয়েছে সেগুলো দ্রুত অনুমোদন প্রক্রিয়ায় নেওয়া হবে।
পাঠকের মন্তব্য