আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে আবারও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আবদুল কাদের সম্প্রতি নিজের ফেসবুক আইডি থেকে দেওয়া এক আবেগঘন পোস্টে লিখেছেন:
“আমার ডাকসুতে জিতা লাগবে না, কেবল বেঁচে থাকতে চাই। এতটুকু দয়া অন্তত আমাকে দেখানোর অনুরোধ।”
তার এই কথাগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ছাত্রদল সভাপতির প্রতিক্রিয়া
কাদেরের পোস্টের পরপরই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (ছাত্রদল) কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি দীর্ঘ পোস্ট দেন। সেখানে তিনি কাদেরকে আশ্বস্ত করে লেখেন:
“কাদের, তোমাকে কথা দিচ্ছি—রাজাকার, আল বদর, আল শামসদের বংশধরদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল তোমার পাশে সর্বাত্মকভাবে থাকবে ইনশাআল্লাহ। আল বটর বাহিনীর কমান্ডারদের আসল চরিত্র উন্মোচিত হয়েছে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, সময়ের পরিক্রমায় অপরাধীদের বিচার হবেই এবং সাইবার বুলিং ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের অবশ্যই চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
সাইবার বুলিং ও ছাত্র সমাজের নিরাপত্তা
রাকিবুল ইসলামের পোস্টে সাইবার বুলিং প্রসঙ্গও উঠে আসে। তিনি অভিযোগ করেন, প্রশিক্ষিত কিছু সংগঠিত গোষ্ঠী—যাদের মধ্যে রয়েছে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, গুপ্ত বাহিনী ও সমর্থকরা—ধারাবাহিকভাবে ছাত্রসমাজ, নারী নেতৃত্ব এবং ভিন্নমতের শিক্ষার্থীদের ওপর সাইবার হামলা ও হয়রানি চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, এমন অপকর্ম শুধু গণতান্ত্রিক পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, বরং তরুণ প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে।
মানবিক দৃষ্টিকোণ
আবদুল কাদেরের আবেগঘন বার্তা এবং ছাত্রদল সভাপতির প্রতিক্রিয়া একটি বড় প্রশ্ন সামনে এনেছে—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সর্বোচ্চ শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রনেতাদের নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক সহনশীলতা কতটা নিশ্চিত?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছাত্র সমাজকে নিরাপদ পরিবেশ দেওয়া না গেলে সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
পাঠকের মন্তব্য