ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাফে মোহাম্মদের বিরুদ্ধে বালুমহাল নিয়ন্ত্রণকে ঘিরে চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলেছেন কিশোরগঞ্জের ভৈরবের বালু ব্যবসায়ীরা। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ভৈরব প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মেসার্স নাগিব এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী নাগিব। তিনি অভিযোগ করেন—
-
বৈধভাবে ইজারা নিয়ে বালু উত্তোলন করলেও ইউএনও প্রতিদিন এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
-
টাকা না দেওয়ায় ইউএনও ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার ভোরে ভৈরব সীমান্তে প্রবেশ করে ১৪টি ড্রেজার ও একটি বাল্কহেড জব্দ করেন।
-
সাত-আটজন শ্রমিককে ধরে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়।
-
স্বীকারোক্তি আদায় করে বালু উত্তোলনের দুই দিনের জমা ও ড্রেজারের টাকা বাবদ প্রায় ১১ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
-
দুইজন ড্রেজার কর্মচারীকে এক বছর করে সাজা দেওয়া হয় এবং চারটি ড্রেজার ও পাঁচটি স্টিলবডি নৌকা জব্দ করা হয়।
ইজারাদারের বক্তব্য
নাগিব বলেন, “সরকারি নিয়ম মেনে ইজারা নিয়ে এবং সম্পূর্ণ রাজস্ব পরিশোধ করে আমরা বালু উত্তোলন করছি। অথচ আমার ব্যবসা নষ্টের জন্য জেলা প্রশাসন মীর আক্তার কম্পানির পক্ষে কিছু ব্যক্তিকে টেন্ডার ছাড়া বালু তুলতে দিয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ
সংবাদ সম্মেলনে ভৈরব উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আর এ মারূকী শাহিন, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি জিল্লুর রহমান, যুবদল আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন সুজন, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদুল হক ইমনসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনওর বক্তব্য
অভিযোগ অস্বীকার করে আশুগঞ্জ ইউএনও রাফে মোহাম্মদ বলেন—
“আমার কাজ হলো জাতীয় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও গ্রিড লাইন সুরক্ষা দেওয়া। এক কিলোমিটারের মধ্যে কেউ ড্রেজার দিয়ে বালু তুললে ব্যবস্থা নেব। ভৈরবের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছ থেকে বালু উত্তোলন করায় ড্রেজার ও বাল্কহেড জব্দ করা হয়েছে।”
পাঠকের মন্তব্য