অনলাইনে পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে ভোক্তাকে বিভ্রান্ত করতে মিথ্যা বা ভুয়া তথ্য দিলে জেল-জরিমানা দুটোই হতে পারে। ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার একটি নতুন অধ্যাদেশ জারি করার উদ্যোগ নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভোক্তাদের প্রতারণা থেকে রক্ষা এবং অনলাইন ব্যবসাকে সুষ্ঠু কাঠামোর আওতায় আনতে আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য খসড়া পাঠানো হয়েছে।
প্রস্তাবিত অধ্যাদেশ অনুযায়ী, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি যদি অনলাইনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পণ্য বিক্রি করে, তবে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। একই অপরাধে পুনরায় দোষী সাব্যস্ত হলে শাস্তি আরও বাড়ানো হবে। পাশাপাশি ভোক্তার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেওয়ার সময় ব্যবসায়ীদের অবশ্যই পণ্যের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য, মূল্য, মান ও শর্তাবলী সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে। ভুয়া রিভিউ, ভিন্ন মানের পণ্য সরবরাহ বা মিথ্যা দাবি করলে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রতারণা, নিম্নমানের পণ্য সরবরাহ, ভুয়া ডিসকাউন্ট ও মিথ্যা প্রচারণার অভিযোগ বাড়ছে। এতে ক্রেতাদের আস্থা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। নতুন আইন কার্যকর হলে এ ধরনের অনিয়ম অনেকটাই কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ই-কমার্স বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভোক্তার অধিকার রক্ষায় এটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ হলেও আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। কেবল আইন প্রণয়ন নয়, অভিযোগ গ্রহণ, তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়াও দ্রুত সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিতে হবে।