![]()
চট্টগ্রামে কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ প্রকল্পের বাইরে তিনটি পৃথক খাত দেখিয়ে প্রায় ৫৮৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা অপচয় ও আত্মসাতের অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক জানায়, ‘পরিষেবা এলাকা’, ‘পর্যবেক্ষণ সফটওয়্যার’ ও ‘একটি ট্যাগবোট’ খাত অন্তর্ভুক্ত করে টানেলের অনুমোদিত বাজেটের বাইরে টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। মামলার অপর তিন আসামি হলেন— বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের তৎকালীন নির্বাহী পরিচালক খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী কবির আহমদ এবং সাবেক পরিচালক আলীম উদ্দিন আহমেদ।
দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন জানান, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত টানেলের রক্ষণাবেক্ষণ ও আনুষাঙ্গিক খাতে খরচ হয়েছে ২০৫ কোটি ৮৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫৬১ টাকা। একই সময় আয় হয়েছে মাত্র ৬৭ কোটি ২৫ লাখ ৫৪ হাজার ১০০ টাকা। ফলে সরকারের ২২ মাসে ক্ষতি হয়েছে ১৩৮ কোটি ৬০ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ টাকা।
তদন্তে দেখা গেছে, টানেল নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও ট্রাফিক পূর্বাভাসের প্রাক্কলন রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ এবং অকার্যকর পরিকল্পনার ভিত্তিতে করা হয়েছিল। ২০১৭ থেকে ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত টানেলের সম্ভাব্য যানবাহন পারাপারের লক্ষ্য ছিল ১৮ দশমিক ৭৬২ মিলিয়ন, কিন্তু বাস্তবে মাত্র ২ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন যানবাহন পারাপার হয়েছে।
দুদক জানিয়েছে, চারজনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত চলছে এবং প্রমাণের ভিত্তিতে অতিরিক্ত আসামি অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।