ঢাকা, তেজগাঁও: প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। একই সঙ্গে আন্তঃমন্ত্রণালয় সহযোগিতা বাড়াতে ‘যৌথ ঘোষণাপত্র’ স্বাক্ষরিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “অসংক্রামক রোগ কেবল চিকিৎসার সমস্যা নয়; এটি জাতীয় উন্নয়ন, অর্থনীতি ও সামাজিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি। এজন্য জনসচেতনতা, প্রতিরোধ এবং কার্যকর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি।”
তিনি বলেন, দেশের দক্ষ ও কর্মক্ষম মানবসম্পদ গঠনের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে অসংক্রামক রোগ। ক্যান্সারসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হলে মানুষ আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত হয়, চিকিৎসা ব্যয় বেড়ে যায় এবং পরিবারের জীবনমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ঘোষণাপত্রে ৩৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অংশগ্রহণে দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ এবং সমন্বিত পদক্ষেপের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। অধ্যাপক ইউনূস জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ ও বৈশ্বিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং কার্যক্রম মনিটরিং, দক্ষ জনবল ও পর্যাপ্ত আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “স্বাস্থ্যকে সামাজিক আন্দোলনে রূপান্তর করা ছাড়া অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ সম্ভব নয়। যৌথ ঘোষণাপত্রের বাস্তবায়ন দেশের জনস্বাস্থ্য কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের অর্জনে সহায়ক হবে।”
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট পরিচালক ড. থাকসাফন থামারাংসি এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান বক্তব্য রাখেন।
পাঠকের মন্তব্য