নিজের একটি বাড়ি বা ফ্ল্যাট—এটা প্রত্যেক মানুষেরই স্বপ্ন। সেই স্বপ্নপূরণে বড় বাধা থাকে ঝক্কি–ঝামেলা আর সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। তবে এখন গ্রাহকদের সেই ভোগান্তি অনেকটাই কমেছে। দেশের অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি ব্যাংক পূবালী ব্যাংক চালু করেছে অনলাইনে আবাসন ঋণের আবেদন ব্যবস্থা।
অনলাইনে কীভাবে করবেন আবেদন
পূবালী ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ক্লিক করলেই শুরু হবে আবেদন প্রক্রিয়া। আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর দিয়ে একবার ব্যবহারযোগ্য পাসওয়ার্ড (OTP) নিশ্চিত করার পর ৯ ধাপে প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করতে হবে।
তথ্যগুলো হলো—
-
ব্যক্তিগত তথ্য
-
পরিচয় ও যোগাযোগের মাধ্যম
-
চাকরি বা পেশার তথ্য
-
ঋণ নেওয়ার কারণ
-
আয়ের বিস্তারিত
-
জামিনদার ও রেফারেন্স
-
ঋণের পরিমাণ ইত্যাদি।
আবেদন জমা দেওয়ার পর ব্যাংক নথিপত্র যাচাই করবে। কোনো ঘাটতি থাকলে যোগাযোগ করা হবে। সবকিছু সঠিক থাকলে আবেদন অনুমোদনের পর ঋণ ছাড় দেওয়া হবে।
কারা আবেদন করতে পারবেন
-
যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিক (জাতীয় পরিচয়পত্র থাকতে হবে)
-
করদাতা ও স্থিতিশীল আয়ের উৎস থাকতে হবে
-
বয়সসীমা ২১–৬৫ বছর (ঋণমেয়াদ শেষে ৭০ বছরের বেশি নয়)
ঋণের পরিমাণ ও সুদের হার
-
সর্বনিম্ন ঋণ: ২ লাখ টাকা
-
সর্বোচ্চ ঋণ: ২ কোটি টাকা
-
সুদের হার: ১৩.৫% – ১৪%
-
ঋণের মেয়াদ: সর্বোচ্চ ২৫ বছর
ঋণ নিয়ে সম্পদ কেনা বা নির্মাণের ক্ষেত্রে গ্রাহকের নিজস্ব অংশীদারি থাকতে হবে ন্যূনতম ৩০%।
প্রক্রিয়াকরণ মাশুল
-
৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণে ০.৫০% বা সর্বোচ্চ ১৫,০০০ টাকা
-
৫০ লাখ টাকার বেশি ঋণে ০.৩০% বা সর্বোচ্চ ২০,000 টাকা
আগাম পরিশোধের সুবিধা
-
পুরো ঋণ আগে পরিশোধ করলে কোনো মাশুল নেই
-
আংশিক পরিশোধ করলে ০.২৫% বা সর্বোচ্চ ১০,০০০ টাকা মাশুল প্রযোজ্য
কেন পূবালী ব্যাংক?
বাংলাদেশের বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে পূবালী ব্যাংকের শাখা, উপশাখা ও এটিএম নেটওয়ার্ক সবচেয়ে বেশি। এজন্য ব্যাংকটি সহজলভ্য সেবার নিশ্চয়তা দেয়। আবাসন ঋণ ছাড়াও টিনশেড থেকে বহুতল ভবন নির্মাণ, ফ্ল্যাট সম্প্রসারণ ও সংস্কারের জন্যও ঋণ সুবিধা দিচ্ছে ব্যাংকটি।
পাঠকের মন্তব্য