বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় ওষুধ শিল্প (ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টর) নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, অস্বচ্ছ ও একপাক্ষিক নীতি, অব্যবস্থাপনা এবং উদ্যোক্তাদের মতামত উপেক্ষা এই কৌশলগত শিল্পকে বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি জানান, জরুরি ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সদ্য গঠিত ড্রাগ কন্ট্রোল কমিটির (ডিসিসি) টেকনিক্যাল সাব-কমিটিতে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি (বিএপিআই)-এর কোনো প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত না করা একটি গুরুতর ভুল।
ফখরুল বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি— নীতি প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণে স্বচ্ছতা, অংশগ্রহণমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং পেশাজীবীদের সম্পৃক্ততা অপরিহার্য।” তিনি জাতীয় স্বার্থে বিএপিআই ও সব অংশীদারের সঙ্গে যৌথভাবে সমাধান খুঁজে বের করার আহ্বান জানান।
তিনি উল্লেখ করেন, প্রায় দুই বছর ধরে নতুন কোনো ওষুধের নিবন্ধন হয়নি এবং দীর্ঘ সময় ধরে মূল্য সমন্বয়ও করা হয়নি। এতে ২০২৬ সালের এলডিসি স্নাতকোত্তর পর বাংলাদেশ ট্রিপস ওয়েভার সুবিধা হারানোর ঝুঁকিতে পড়ছে। তাই নতুন ওষুধের নিবন্ধন দ্রুত অনুমোদন জরুরি বলে তিনি মত দেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “ফার্মাসিউটিক্যাল খাত শুধু উৎপাদনশিল্প নয়, এটি আমাদের কৌশলগত সম্পদ। সরকার, বেসরকারি খাত, উদ্যোক্তা, বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের সমন্বয়ে এই শিল্পকে আরও এগিয়ে নিতে হবে।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন, শিল্পবান্ধব সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে সরকার এই খাতের স্থিতিশীলতা ও আন্তর্জাতিক সুনাম বজায় রাখবে। বর্তমানে বাংলাদেশের তৈরি মানসম্মত ওষুধ ১৬০টির বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াও রয়েছে। অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রিডিয়েন্ট (এপিআই) উৎপাদনেও খাতটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
পাঠকের মন্তব্য