জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) জানিয়েছে, গাজা সিটির ওপর ইসরায়েলি দখলদারিত্ব শুরু হওয়ার আগে সেখানকার ভয়াবহ স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠানোর অনুমতি দিতে হবে।
ডাব্লিউএইচও-র ফিলিস্তিন প্রতিনিধি রিক পিপারকর্ন মঙ্গলবার জেরুজালেম থেকে এএফপিকে বলেন, গাজার চিকিৎসা পরিস্থিতি এখন মারাত্মক পর্যায়ে। বর্তমানে ৫২ শতাংশ ওষুধের মজুত শেষ হয়ে গেছে, আর হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো আংশিকভাবে চালু আছে—মাত্র ৫০ শতাংশ হাসপাতাল এবং ৩৮ শতাংশ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র আংশিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
পিপারকর্ন জানান, গাজায় সরঞ্জাম পৌঁছানোর প্রক্রিয়া জটিল ও ধীরগতির হওয়ায় এবং অনুমতি না মেলায় ডাব্লিউএইচও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অল্প অংশই আনতে পেরেছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, গাজার মানুষ ক্ষুধা ও অপুষ্টির শিকার হচ্ছে, যা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও চরম সংকটে ঠেলে দিচ্ছে।
তার ভাষায়, “আমরা যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও সরঞ্জামের মজুত রাখতে চাই, কিন্তু এখন কার্যত কিছুই করতে পারছি না।” তিনি জানান, এ বছর অপুষ্টিতে অন্তত ১৪৮ জন মারা গেছেন এবং শুধু জুলাই মাসেই পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ১২ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে—যা এক মাসে গাজার জন্য রেকর্ড সর্বোচ্চ।
এর আগে ইসরায়েল ঘোষণা করেছিল যে তারা গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নেবে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সিকিউরিটি কেবিনেট এ পরিকল্পনায় অনুমোদন দেওয়ার পর আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। জাতিসংঘের সংস্থাগুলোও সতর্ক করেছে যে, ইসরায়েলের কড়াকড়ি ত্রাণ প্রবেশে বাধা তৈরি করছে এবং গাজায় দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি দ্রুত বাড়ছে।
পাঠকের মন্তব্য