সিলেটের কুমারগাঁওয়ে অবস্থিত ২২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি গত তিন সপ্তাহ ধরে কারিগরি ত্রুটির কারণে বন্ধ রয়েছে। এতে সিলেট নগরীসহ পুরো সিলেট বিভাগ—সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ—প্রতিদিন একাধিকবার লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ছে।
কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে পুরো বিভাগ এখন জাতীয় গ্রিডের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু জাতীয় লোড ডিসপ্যাচ সেন্টার (NLDC) থেকে চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করায় সংকট আরও প্রকট হয়েছে।
লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যাহত হচ্ছে সিলেট সিটি করপোরেশনের পানির সরবরাহ ব্যবস্থা। অনেক এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র পানি সংকট।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলী বিদ্যুৎ আচার্য জানিয়েছেন, “ঢাকা থেকে আসা বিশেষজ্ঞ দল এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ করছে। সিস্টেম ঠিক থাকলে আমরা আশা করছি, চলতি সপ্তাহেই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব হবে।”
তবে গ্রিড উপকেন্দ্রের কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, যতক্ষণ না বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সচল হচ্ছে, ততক্ষণ লোডশেডিং চলবে এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
প্রভাব পড়ছে জনজীবনে ও ব্যবসা-বাণিজ্যে
দিন-রাতের লোডশেডিংয়ের ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। রাতে ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় গরম ও মশার যন্ত্রণা বাড়ছে, অন্যদিকে অফিস-আদালতে কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দ্রুত সচল না হলে সিলেট বিভাগের জনজীবনে সংকট আরও ঘনীভূত হতে পারে। স্থানীয়দের দাবি, সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হোক এবং সিলেটকে জাতীয় গ্রিডে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হোক।
পাঠকের মন্তব্য