ইবি ডেস্ক:
আবাসন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে কালো টাকা বা অপ্রদর্শিত অর্থ সাদা করার সুযোগ আগামী অর্থবছরেও থাকছে, তবে এর জন্য আগের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি কর গুণতে হবে। সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ সংক্রান্ত ঘোষণা দেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বর্তমানে ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলো—গুলশান, বনানী, বারিধারা, মতিঝিল ও দিলকুশায়—২০০ বর্গমিটারের মধ্যে ভবন বা ফ্ল্যাট কিনলে প্রতি বর্গমিটারে ৬ হাজার টাকা কর দিয়ে কালো টাকা বৈধ করা যায়। নতুন প্রস্তাবে একই আয়তনের ফ্ল্যাটে প্রতি বর্গফুটে কর গুনতে হবে ২ হাজার টাকা, অর্থাৎ প্রতি বর্গমিটারে ২১ হাজার ৫৩০ টাকা, যা আগের তুলনায় প্রায় ২৫৯ শতাংশ বেশি।
একইভাবে ভবন নির্মাণে করহারও বাড়ানো হয়েছে। এসব এলাকায় অনধিক ২০০ বর্গমিটার আয়তনের ভবন নির্মাণে কর গুনতে হবে প্রতি বর্গফুটে ৯০০ টাকা, যা বর্গমিটারে দাঁড়ায় ৯ হাজার ৬৮৮ দশমিক ৫ টাকা।
আর একটি ভিন্ন প্রস্তাবে বলা হয়েছে, একই এলাকায় ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রতি বর্গমিটারে ৪ হাজার টাকা কর দেওয়ার নিয়ম থাকলেও নতুন বাজেটে তা বাড়িয়ে প্রতি বর্গফুটে ১ হাজার ৮০০ টাকা করা হয়েছে। এতে করে প্রতি বর্গমিটারে কর দাঁড়াবে ১৯ হাজার ৩৭৭ টাকা, যা আগের তুলনায় প্রায় ৩৮৪ শতাংশ বেশি।
দুই বছর বিরতির পর বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আবারও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ চালু হয়। তখন ১৫ শতাংশ কর দিয়ে যেকোনো বিনিয়োগ, নগদ অর্থ ও শেয়ার বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়। আবাসন খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও নির্ধারিত কর পরিশোধের মাধ্যমে প্রশ্ন ছাড়াই ফ্ল্যাট বা জমি বৈধ করা যায়।
তবে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে সরকার জানায়, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে না। যদিও আবাসন খাতের ক্ষেত্রে তা বাতিলের ঘোষণা আসেনি, ফলে বিধানটি কার্যকর ছিল।
এবার করহার কয়েকগুণ বাড়িয়ে হলেও সেই সুযোগ বহাল রেখে আগের অবস্থান থেকে সরল সরকার।
সূত্র: অনলাইন সংবাদ