ইবি ডেস্ক
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার কথা হয়তো সবারই মনে আছে। কিন্তু সেটি রয়ে গেছে বইয়ের পাতায়। হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মতোই কাঁধে ঝোলা আর আঞ্চলিক গানের মধুর সুর বাঁশিতে তুলে ৯ বছর ধরে ক্লান্তিহীনভাবে সংসার চালাচ্ছেন পর্যটক নগরী মৌলভীবাজার এর কমলগঞ্জের কৃষ্ণ দাস নামের এক বাঁশিওয়ালা। বাঁশিতে মধুর সুর তুলে মৌলভীবাজার জেলার পর্যটক নগরী শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় বাশির সুর তুলে মানুষের মনে আনন্দ দিয়ে সংসার চালাচ্ছেন কৃষ্ণ দাস। কৃষ্ণ দাসের সঙ্গে দেখা ও কথা হয়, পর্যটক নগরী কমলগঞ্জের মাধবপুর লেক পাড়ে ।
‘মিলন হবে কত দিনে, আমার মনের মানুষের সনে” সহ বিভিন্ন গানের সুর বাঁশিতে তুলে বাঁশি বাজিয়ে বাজিয়ে বিক্রি করে চার সদস্যের সংসার চালাচ্ছেন কৃষ্ণ দাস ।
বাবার তেমন কোনো সম্পত্তি না থাকায় নিত্যদিনের চাহিদা মেটাতে বেকায়দায় পড়েন তিনি। নিজের বাঁশি বাজানোর বিদ্যাটুকু কাজে লাগিয়ে খুঁজে নেন চলার শক্তি। এভাবে দীর্ঘ ৯ বছর ধরে বাঁশির বাজিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি। গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে নিজ হাতে তৈরি বাঁশি বিক্রিও করেন তিনি
প্রতিদিন ২ থেকে ৩০০ টাকা উপার্জন করে চালাচ্ছে তার সংসার । কৃষ্ণদাস জানান, মৌলভীবাজার জেলায় কমলগঞ্জ উপজেলার শ্রী গোবিন্দপুর চা বাগান পরিবার প্রয়োজন নিয়ে বসবাস করে। বিগত নয় বছর ধরে বাঁশি বাজিয়ে সন্তানদের পড়াশোনা এবং জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। সরকারিভাবে তিনি কোন সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে জানান ।