![]()
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পথে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্তভাবে ৮১টি দেশীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়েছে। এই পদক্ষেপ আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আরও বিশ্বস্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার লক্ষ্যেই নেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখা সোমবার (৮ ডিসেম্বর) এই তথ্য জানায়। কমিশন জানিয়েছে, দেশে প্রথম দফায় ৬৬টি পর্যবেক্ষক সংস্থা এবং দ্বিতীয় দফায় আরও ১৫টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে।
প্রক্রিয়া ও সময়সীমা
-
২৮ সেপ্টেম্বর, নির্বাচন কমিশন প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করে ৭৩টি দেশীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার।
-
২০ অক্টোবর পর্যন্ত যেকোনো দাবি, আপত্তি বা অভিযোগ লিখিতভাবে জমা দেওয়ার সুযোগ ছিল।
-
প্রথম ধাপে ৬৬ সংস্থাকে ৬ নভেম্বর ২০২৫ থেকে ৫ নভেম্বর ২০৩০ পর্যন্ত নিবন্ধন দেওয়া হয়।
-
দ্বিতীয় ধাপে ১৫ সংস্থাকে ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে ৩ ডিসেম্বর ২০৩০ পর্যন্ত নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, পূর্ববর্তী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নিবন্ধিত ৯৬টি সংস্থার নিবন্ধন ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৫’-এর ধারা ১৬ মোতাবেক স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়েছে।
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রতিশ্রুতি
নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলি দেশের প্রতিটি নির্বাচনী কেন্দ্রে ভোট প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করবে, ভোটগ্রহণের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে এবং নির্বাচনকালীন অসঙ্গতি বা অনিয়ম প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তা বলেন, “দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার কার্যক্রম জনগণের আস্থা বাড়াবে এবং নির্বাচনকে আরও স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করবে। আমরা চাই, ভোটাররা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দিতে সক্ষম হোক।”