![]()
রাজশাহী মহানগরীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও শক্তিশালী রাখতে অপরাধ দমন, চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা বাস্তবায়নের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) পুলিশ কমিশনার ড. মো. জিল্লুর রহমান।
সোমবার আরএমপি সদর দফতরের সভাকক্ষে নভেম্বর মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি সভাপতিত্ব করেন। সভায় নগরীর সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি, অপরাধ প্রবণতা ও গৃহীত আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়।
অপরাধ দমনে বিশেষ গুরুত্ব
সভায় পুলিশ কমিশনার ডাকাতি, দস্যুতা, খুন, অপহরণ, ধর্ষণ, নারী-শিশু নির্যাতনসহ গুরুত্বপূর্ণ অপরাধ দমনের বিষয়ে নির্দেশনা দেন। তিনি আরও জোর দেন—
-
মাদক ও চোরাচালান দমন
-
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার
-
কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণ
-
চাঁদাবাজি প্রতিরোধ
-
গ্রেফতারি পরোয়ানা বাস্তবায়ন
তিনি বলেন, নগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এসব খাতের প্রতিটি ইউনিটকে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও দায়বদ্ধতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
নভেম্বর মাসের অপরাধ বিশ্লেষণ
সভার আলোচনায় উঠে আসে—
-
নভেম্বর মাসের অপরাধের পরিসংখ্যান
-
চলমান অভিযানগুলোর ফলাফল
-
দুর্বলতা ও চ্যালেঞ্জ
-
ভবিষ্যতের কার্যকর কৌশল
কমিশনার জানান, নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের আরও সমন্বিত ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে।
৪০ পুলিশ সদস্যকে পুরস্কার
নভেম্বর পর্যন্ত সামগ্রিক কর্মদক্ষতা মূল্যায়নে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করায় বিভিন্ন পদমর্যাদার ৪০ জন পুলিশ সদস্যকে সনদপত্র ও অর্থ পুরস্কার প্রদান করেন আরএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, ভালো কাজের স্বীকৃতি পুলিশ সদস্যদের মনোবল বাড়ায় এবং আরও ভালো কাজের অনুপ্রেরণা দেয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন
সভায় উপস্থিত ছিলেন—
-
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) নাজমুল হাসান
-
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (চলতি দায়িত্ব) ফারুক হোসেন
-
উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর), অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মোহাম্মদ খোরশেদ আলম
-
আরএমপির অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা
-
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা