![]()
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের বিশেষ মেধাসম্পন্ন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উপযুক্ত শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থানের অধিকার নিশ্চিত করা গেলে তারা আগামী দিনের উন্নত বাংলাদেশ গঠনে অসাধারণ অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।
‘৩৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২৭তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। তার মতে, একটি দেশের সামাজিক অগ্রগতি নির্ভর করে—সেই দেশের প্রতিটি মানুষ কতটা মর্যাদাপূর্ণভাবে বেঁচে থাকতে পারছে তার ওপর। আর সেই কারণেই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়ন এখন সময়ের দাবি।
অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্যোগে সরকারের অগ্রগতি
প্রধান উপদেষ্টা জানান, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে এবং তাদের বিকাশে বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—
-
জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের অধীনে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় পরিচালনা
-
সাভারে আন্তর্জাতিক মানের বহুমুখী ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ
-
জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদদের জন্য শহীদ ফারহান ফাইয়াজ খেলার মাঠ উদ্বোধন
-
সারাদেশে বিভিন্ন প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র এবং অটিজম ও এনডিডি সেবা কেন্দ্র চালু রাখা
তিনি বলেন, এসব উদ্যোগ শুধু সরকারি পদক্ষেপ নয়; বরং প্রতিবন্ধী শিশু, যুবক-যুবতি ও তাদের পরিবারের প্রতি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব ও মানবিক অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী পুনর্বাসন কার্যক্রম
এ বছরের জাতিসংঘ ঘোষিত প্রতিপাদ্য—
‘প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ি, সামাজিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করি।’
এই প্রতিপাদ্যকে যথার্থ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুসরণ করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তরগুলো কমিউনিটি বেইজড রিহ্যাবিলিটেশন (সিবিআর) কর্মসূচির আওতায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ বিভিন্ন জায়গায় অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। এর মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিক্ষা, পুনর্বাসন, থেরাপি, সহায়ক প্রযুক্তি এবং সামাজিক অংশগ্রহণ আরও বিস্তৃত হচ্ছে।
“বিশেষ মেধাই দেশের শক্তি”
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বাস করেন—বাংলাদেশের বিশেষ মেধাসম্পন্ন ভাই-বোনেরা একদিন তাদের শ্রম, সৃজনশীলতা, জ্ঞান ও মানবিকতা দিয়ে দেশকে সত্যিকারের সোনার বাংলায় রূপান্তর করবে। তিনি বলেন, সমাজের প্রতিটি মানুষের মধ্যে বিশেষ সক্ষমতা রয়েছে; শুধু প্রয়োজন সঠিক দিকনির্দেশনা এবং সুযোগ তৈরি করা।
সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা
বাণীর শেষে প্রধান উপদেষ্টা ‘৩৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২৭তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন। তিনি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিসহ তাদের পরিবার, সেবাদানকারী, গবেষক, থেরাপিস্ট, সহায়ক প্রযুক্তি উদ্ভাবক এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।